Calcutta University: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুটে নয়া পালক, টুইট `গর্বিত` মুখ্যমন্ত্রীর
দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় সিইউ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষা উৎকর্ষের স্বীকৃতি পেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক: উৎকর্ষতার স্বীকৃতি। দেশের সেরা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের তালিকায় স্থান পেল সিইউ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাফল্যে 'গর্বিত' মুখ্যমন্ত্রী। টুইট করে খবর জানালেন তিনি নিজেই।
কোন বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলি সেরা? দেশজুড়ে সমীক্ষা চালিয়েছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। সমীক্ষার পর যে তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে, সেই তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকায় শীর্ষে সিইউ।
এর আগে, চলতি বছরের জুলাই মাসে উৎকর্ষতার বিচারে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করে ন্য়াশনাল ইনস্টিটিউট ব়্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (NIRF 2022 India Ranking)। স্রেফ কলকাতায় বিশ্ববিদ্য়ালয় নয়, সেই তালিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরও নাম ছিল। চতুর্থ স্থানে যাদবপুর, আর অষ্টম স্থানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। টুইট করে শহরের দুই বিশ্ববিদ্য়ালয়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এবছর কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অনলাইনে পরীক্ষার প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, রাজ্যে ৯০ শতাংশ বিশ্ববিদ্য়ালয়ে পরীক্ষা হচ্ছে অনলাইনেই। বই খুলে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন পড়ুয়ারা। সিলেবাস শেষ হয়নি বলে ওয়াটেজ মার্কস দিচ্ছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ শতাংশ সিলেবাস শেষ হচ্ছে। তাহলে কেন অনলাইনে গোটা সিলেবাসের উপর পরীক্ষা হবে? এমনকী, মামলা গড়ায় হাইকোর্টেও।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: জেলে বসে মগজাস্ত্রে শান পার্থর, খাতা-কলম নিয়ে তৈরি হচ্ছেন আইনি মেগাফাইটের জন্য
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, অনলাইনে নয়, পরীক্ষা হবে অফলাইনেই। ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, কীভাবে পরীক্ষা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার নেই বিশ্ববিদ্য়ালয়ের। সিলেবাস শেষ হয়নি, সেটাই ইউনিভার্সিটির বিষয়। আর কোর্স শেষ করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যায়ল যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা সংক্রান্ত তিনটি আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পড়ুয়ারা। কী কী? প্রথম, পরীক্ষা নিতে হবে পুরো সিলেবাস শেষ করে। দ্বিতীয়, সিলেবাসের পরিমাণ কমাতে হবে। তৃতীয়, পরীক্ষা নিতে হবে হোম সেন্টারেই। তিনটি আবেদনই খারিজ হয়ে যায়।