নিজস্ব প্রতিবেদন: নজরে বন সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া। নিশানায় কি দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী, সদ্য তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)? দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই সায় দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে এবার স্টেট অ্যাডিমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা SAT-র দ্বারস্থ হলেন কয়েকজন কর্মীপ্রার্থী। দুর্নীতির অভিযোগে প্যানেল বাতিল করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। 'হিম্মত থাকলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন', মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) আমলে বন সহায়ক পদে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজেই। আলিপুরদুয়ারে প্রকাশ্য জনসভায় নাম না করে তিনি বলেন, 'আমি জানি যে ছেলেটা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ছিল, বন সহায়তা স্কিমে আমাদের সঙ্গে থাকা এক নেতা কারসাজি করেছে। আমার কাছে অনেকে এই অভিযোগ করেছে।' এমনকী ঘোষণাও করে দেন, যে নির্বাচন ঘোষণা হলেও তদন্ত চলবে। এরপরই এদিন বন সহায়ক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে অনুমোদন দেয় রাজ্য মন্ত্রিসভা। এবার মামলা গড়াল SAT-এ। 


আরও পড়ুন: 'ভাইপো অসহিষ্ণু ও দুর্মুখ', Abhishek-র আইনি চিঠির জবাব Suvendu-র


তখন বনমন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। গত বছরের আগস্টে বন সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয় ইন্টারভিউ পর্ব। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্যানেল বাতিলের দাবিতে SAT-র দ্বারস্থ হলেন বেশ কয়েকজন কর্মপ্রার্থী। কেন? মামলাকারীদের দাবি, ইন্টারভিউ-র পর কারা চাকরি পেলেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানানো হয়নি। নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। আগামী সপ্তাহে মামলাটির শুনানি হতে পারে।


আরও পড়ুন: সম্মান দিয়েই বলছি, মদন'দা কিন্তু বাংলার ক্রাশ: Saayoni


ভোটের মুখে বন সহায়ক পদে নিয়োগে 'দুর্নীতি' নিয়ে কী বলছে বিরোধীরা? বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) চাঁচাছোলা প্রতিক্রিয়া, 'গত কয়েক বছর ধরে চাকরির নামে যুবকদের অসম্ভব বিপদে ফেলা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি টাকার সওদা হয়েছে। তৃণমূলে সেই টাকা ভাগ গিয়েছে, কালীঘাটে সেই টাকার ভাগ গিয়েছে। মুখ্য়মন্ত্রীকে বলব, হিম্মত থাকলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। যুব সমাজের কাজে অপরাধ স্বীকার করুন। আপনাদের ঘরের ঘরের ঝগড়া শুনে লাভ নেই।'