SSC Scam Case, CBI: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই-এর প্রথম গ্রেফতারি, জালে দুই শীর্ষ কর্তা
বুধবার নিজাম প্যালেস তাঁদের ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সকালে সাড়ে ১০টা থেকে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তর অসঙ্গতি ধরা পড়ায়, প্রায় সাত ঘণ্টা পর তাঁদের গ্রেফতার করা হল। এসপি সিনহা এবং অশোক সাহাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chatterjee) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) গ্রেফতার করেছে ইডি (ED)।
বিক্রম দাস ও অর্ণবাংশু নিয়োগী: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Scam Case) সিবিআই-এর (CBI) প্রথম গ্রেফতারি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে গ্রেফতার এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহা (SP Sinha) এবং ওই কমিটির সদস্য অশোক সাহা (Ashok Shah)। বুধবার নিজাম প্যালেস তাঁদের ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সকালে সাড়ে ১০টা থেকে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তর অসঙ্গতি ধরা পড়ায়, প্রায় সাত ঘণ্টা পর তাঁদের গ্রেফতার করা হল। এসপি সিনহা এবং অশোক সাহাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chatterjee) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) গ্রেফতার করেছে ইডি (ED)।
কেন গ্রেফতার শান্তি প্রসাদ সিনহা?
১) প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও ৩০০ জনের বেশি সুপারিশ পত্র ছাপানো হয়েছিল। শান্তিপ্রসাদ সিনহার নির্দেশে এই কাজ হয়েছিল।
২) গ্রুপ সি প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ণের জন্য, NYSA কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছিল। এই বিষয়ে অশোককুমার সরকার এবং শান্তিপ্রসাদ সিনহার অনুমোদন ছিল।
৩) প্যানেলের নাম পরিবর্তন করে, গ্রেড বদলের জন্য অনুমোদন দিয়েছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা।
৪) হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরকে বাগ কমিটির রিপোর্টেও শান্তিপ্রসাদ সিনহার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।
৫) নিয়োগের স্বচ্ছতা আনার জন্য যে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন শান্তি প্রসাদ।
অশোক সাহা কেন গ্রেফতার?
১) ২০২০ নিয়োগের সময় অস্থায়ী চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব পেয়েছিলেন অশোক সাহা। অভিযোগ, সেই সময় পদের অপব্যবহার করেছিলেন তিনি।
২) অশোক সাহার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সুপারিশ করেছিল বাগ কমিটি।
৩) আদালত অশোক সাহাকে ডেকে পাঠিয়েছিল। তাঁকে সম্পত্তি খতিয়ান দিতে হয়েছিল।
৪) মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও সুপারিশ দেওয়া এবং ব়্যাঙ্ক বদলের পিছনে অশোক সাহার অনুমতি ছিল বলে অভিযোগ।
এই একই মামলায় আগে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্পিতার দুটো ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা, বিপুল সোনা-রুপো, সম্পত্তির দলিল। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তাঁরা দু'জন।