নারদে ১ কোটি ৭০ লক্ষ কে, কাকে দিচ্ছিলেন? মুকুল-মির্জাকে বসিয়ে জানতে চাইল সিবিআই
বৃহস্পতিবার নারদকাণ্ডে গ্রেফতার হন আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জা। এরপরই ডাক পড়ে মুকুল রায়ের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিলেন মুকুল রায়। মির্জা-মুকুলকে সামনা সামনি বসিয়ে আজ জেরা করা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, মির্জা নিজের বয়ানে মুকুলের নাম করায় তাঁকে তলব করেন তদন্তকারীরা। মির্জাকে সামনে বসিয়ে মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
বৃহস্পতিবার নারদকাণ্ডে গ্রেফতার হন আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জা। এরপরই ডাক পড়ে মুকুল রায়ের। নারদের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ব্যবসায়ীর বেশে থাকা নারদকর্তাকে মির্জার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন তত্কালীন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়।
বৃহস্পতিবারই মুকুল রায়কে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু দলীয় কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য চিঠি দিয়ে সিবিআইয়ের কাছে সময় চান বিজেপি নেতা। শনিবার তাঁকে ফের ডেকে পাঠানো হয়। দ্বিতীয় তলবে শনিবার নিজাম প্যালেসে হাজির হন মুকুল।
নিহত বিজেপি কর্মীদের স্মৃতির উদ্দেশে বাগবাজারে তর্পণ সেরে, দুপুরে সিবিআইয়ের সঙ্গে দেখা করেন মুকুল। নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। মির্জাকে সামনে বসিয়েই চলে জিজ্ঞাসাবাদ। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সিবিআই অফিসে ছিলেন মুকুল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, যা করার মুকুল রায়ের নির্দেশেই করেছেন। মির্জার এই বয়ানের ভিত্তিতেই মুকুলকে ডাকা হয়।
মিডিয়ায় প্রকাশিত ফুটেজ ছাড়াও ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে স্টিং অপারেশনের আরও কয়েকটি ভিডিয়ো পান গোয়েন্দারা। সেই ফুটেজে দেখা যায়, মির্জা ফোনে তাঁর মাধ্যমে কারও সঙ্গে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা লেনদেনের কথা বলছেন। এই ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা কে কাকে দিচ্ছিলেন, তাও মির্জা-মুকুলকে মুখোমুখি বসিয়ে জানতে চায় সিবিআই। পরে সাংবাদিকদের মুকুল জানান, যতবার তদন্তকারীরা প্রয়োজন মনে করবেন, ততবার হাজিরা দেবেন তিনি। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবেন।
আরও পড়ুন- জাগো বাংলা একটা না দুটো বিজ্ঞাপন নিয়েছে, রোজ বিব্রত করছে,সারদা-যোগ নিয়ে মমতা