নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে জেরার জন্য তৈরি প্রশ্নপত্র। খবর সিবিআই সূত্রে। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রাজীব কুমারকে জেরা করার জন্য প্রায় ১০০টির বেশি প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। সেই প্রশ্নপত্র নিয়ে সিবিআই-এর আইনি উপদেষ্টা সেলের সঙ্গে আলোচনা করছেন বিশেষ তদন্তকারী দলের অফিসাররা। সিপিকে জেরার ক্ষেত্রে কোনও ফাঁক রাখতে চায় না সিবিআই। সেই লক্ষেই দিল্লিতে সিবিআই সদর দফতরে চলছে হোমওয়ার্ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই সিবিআই অধিকর্তা ঋষি শুক্লাকে রাজীব কুমার চিঠি পাঠান বলে পুলিস সূত্রে খবর। ৮ ফেব্রুয়ারি শিলংয়ে তদন্তকারী দলের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে কলকাতা পুলিস কমিশনার চিঠি দেন বলে খবর। তবে সেই চিঠিকে যে সিবিআই আমল দিচ্ছে না বা দেবে না, তা কালই পরিষ্কার জানিয়ে দেন সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তব। চিঠি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে জি ২৪ ঘণ্টাকে পঙ্কজ শ্রীবাস্তব সাফ বলেন, "জিজ্ঞাসাবাদ কবে হবে, তা ঠিক করবে সিবিআই। রাজীব কুমার জিজ্ঞাসাবাদের দিনক্ষণ স্থির করবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারী দল জিজ্ঞাসাবাদের দিন ঠিক করবে।"


উল্লেখ্য, চিটফান্ডে তদন্তে সহযোগিতার জন্য কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে মঙ্গলবার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআই-এর সামনে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। নিরপেক্ষ স্থান শিলংয়ে হাজিরা দেওয়ার কথা বলেছে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরই সিবিআই-এর তরফে ৯ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। ডিএসপি তথাগত বর্ধনের নেতৃত্বে গঠন করা হয় তদন্তকারী দলটি ।


আরও পড়ুন, কোনও ধরনায় যোগ দেননি, দায়িত্ব পালন করেছেন রাজীব কুমার, দাবি মমতার


সূত্রে খবর, বিশেষ তদন্তকারী দলটি দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই শিলং উড়ে যাবে। পাশাপাশি, হাজিরার জন্য এরমধ্যেই কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে নোটিস পাঠানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে শিলংয়ে হাজিরা দেওয়ার জন্য এই নোটিস পাঠানো হবে। মেল ও ফ্যাক্স করে পাঠানো হবে নোটিস। সূত্রে খবর, সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে রাজীব কুমার যতক্ষণ সদুত্তর না দেবেন, ততক্ষণ তাঁকে জেরার পরিকল্পনা রয়েছে সিবিআই-এর। পরবর্তী শুনানি ২০ ফেব্রুয়ারি। এই সময়কালের মধ্যে রাজীব কুমারকে জেরার পর জেরা করে তাঁর কাছ থেকে সদুত্তর আদায় করে নিতে চাইছে সিবিআই।