নিজস্ব প্রতিবেদন: সারদাকাণ্ডের তদন্তে অর্ণব ঘোষকে নোটিস পাঠাল সিবিআই। সারদা তদন্তে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্য ছিলেন অর্ণব। সিটের প্রধান রাজীব কুমারের আস্থাভাজন ছিলেন তিনি।         


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজীব কুমারের পর এবার সিবিআইয়ের নজরে অর্ণব ঘোষ। তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সম্ভবত আগামিকাল হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সারদা কেলেঙ্কারির সময় বিধাননগরের গোয়েন্দাপ্রধান ছিলেন। এছাড়াও সারদাকাণ্ডে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্য ছিলেন অর্ণব ঘোষ।  নির্বাচনের আগে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে মালদহের পুলিস সুপার পদ সরানো হয় তাঁকে। পুলিস সূত্রের খবর, সিটের প্রধান রাজীব কুমারের অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। 



সিবিআই সূত্রে খবর, তখন গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন অর্ণব ঘোষ। রাজীব কুমারের পর তিনিই ছিলেন সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। তখন তদন্তে একাধিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করেছিলেন অর্ণব ঘোষ। নিচুতলার পুলিস আধিকারিকদের কাছ থেকে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, একাধিক নথি সংগ্রহ করেছিলেন অর্ণব ঘোষ। সে কারণে তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই। 


এদিনই বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল বিধাননগর কমিশনারেটের ২ পুলিসকর্মীকে। দিলীপ হাজরা ও প্রভাকর নাথ নামে ওই ২ পুলিসকর্মী সারদাকাণ্ডের তদন্ত চলাকালে ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় কর্মরত ছিলেন। এদের মধ্যে প্রভাকর নাথ মঙ্গলবার হাজিরা দেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। অন্যজন এদিন হাজিরা দেননি।


রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে তত্পর হয়েছে সিবিআই। মঙ্গলবার কলকাতার খ্যাতনামা এক ফৌজদারি আইনজীবীর দ্বারস্থ হন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ বালিগঞ্জ প্লেসে আইনজীবী ওয়াইজে দস্তুরের বাসভবনে যান সিবিআইয়ের তিন আধিকারিক। ছিলেন সারদাকাণ্ডের তদন্তকারী আধিকারিক তথাগত বর্ধন ও ২ এসপি পদমর্যাদার অফিসার। কী ভাবে IPS আধিকারিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যায়, তা নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করেন তাঁরা।


আরও পড়ুন- আজ মঙ্গলবার, ৪টি পুরসভা থেকে তৃণমূল সাফ করলেন মুকুল রায়