নিজস্ব প্রতিবেদন : সাড়ে চার বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির চূড়ান্ত চার্জশিট জমা পড়েনি। রোজভ্যালি তদন্তও সেই তিমিরেই। প্রয়াগ, আইকোরের মতো চিটফান্ডগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়াও থমকে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এদিন সিবিআই শীর্ষকর্তাদের কাছে জোর ধমক খেলেন এরাজ্যের সিবিআই অফিসাররা। একইসঙ্গে সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার নির্দেশ, সারদা-রোজভ্যালি তদন্তের জাল গুটিয়ে ফেলতে হবে চলতি বছরের মধ্যেই। ২০১৯-এর আগেই শেষ করতে হবে তদন্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যের চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি এবং গতিপ্রকৃতি নিয়ে এদিন নিজাম প্যালেসে প্রতিটি মামলার তদন্তকারী অফিসার (আইও)-দের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাকেশ আস্থানা-সহ সিবিআই শীর্ষ কর্তারা। এদিন প্রায় ৫ ঘণ্টা বৈঠক করেন তাঁরা। সেখানেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর আস্থানা। সাড়ে ৪ বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও কেন সারদা মামলার ফাইনাল চার্জশিট জমা পড়ল না, জানতে চান তিনি। পাশাপাশি ঝুলে রয়েছে রোজভ্যালি, প্রয়াগ, আইকোরের মত চিটফান্ডগুলির তদন্তও। এদিনের বৈঠকে আইও-দের চলতি বছরের মধ্যেই সারদা-রোজভ্যালি সহ সব চিটফান্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।


এই প্রসঙ্গে আইও'রা আস্থানাকে জানান, সারদা-রোজভ্যালি সহ ৭টি চিটফান্ড মামলাতেই বেশকিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বররের মধ্যে সেগুলিকে সম্পন্ন করতে গেলে লোকবল প্রয়োজন। যার প্রেক্ষিতে সিবিআই শীর্ষ নেতৃত্ব হেডকোয়ার্টার্সের তরফে পর্যাপ্ত লোকবল দেওয়ার আশ্বাস দেয়। সূত্রের খবর, প্রতিটি মামলার জন্য অতিরিক্ত ৩ থেকে ৪ জন করে অফিসার চান তদন্তকারীরা। এরপরই তদন্ত দ্রুত শেষ করতে  আইও-দের দাবি মতো সারদা, রোজভ্যালি, আইকোর-সহ প্রতিটি চিটফান্ড মামলাতেই ৩ জন করে অতিরিক্ত অফিসার দিতে সম্মত হয় সিবিআই-এর শীর্ষ মহল।


এদিনের বৈঠকে প্রথম দফায় চিটফান্ডগুলির তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে পর্যালোচনার পর দ্বিতীয় দফায় আলোচনা হয় নারদা তদন্তের হালহকিকত নিয়ে। সেখানেও আস্থানার ভর্ত্সনার মুখে পড়েন নারদ তদন্তের আইও রঞ্জিত কুমার। অভিযোগ, ডিএসপি রঞ্জিত কুমার নারদ তদন্তের অগ্রগতি সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেছেন সুপারভাইজিং অফিসারদের। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে তিনি না কি কোনও তথ্যই জানাননি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। এমনকি দিল্লিতে সিবিআই হেডকোয়ার্টার্সেও তিনি কোনও রিপোর্ট পাঠাননি বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন, হুমকি দিয়ে কাঠগড়ায় দিলীপ


উল্লেখ্য, ২০১৯-এই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ২০১৮-র জুন মাসে এই বৈঠক ও আস্থানার এই নির্দেশের মধ্যে বিশেষ 'রাজনৈতিক গন্ধও' খুঁজে পাচ্ছে ওয়াকিবহল মহল।