Primary Teacher Recruitment: পরীক্ষা না দিয়েই হাতে নিয়োগপত্র! `বিস্ময়কর` দুর্নীতি প্রাথমিকে
ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। অকল্পনীয় দুর্নীতি হয়েছে। যা সাধারণ মানুষকে শিহরিত করে দেবে। পরীক্ষাই দেননি অথচ নিয়োগপত্র পেয়েছেন। হাইকোর্টকে এদিন জানায় সিবিআই।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুখবন্ধ খামে হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। মোট দুটি রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। যে রিপোর্ট দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, "বিস্ময়কর!" সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কিছু নথির ফরেনসিক রিপোর্ট ও তদন্তপ্রক্রিয়ার স্ট্যাটাস রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে সিবিআই। আদালতকে সিবিআই জানিয়েছে, তদন্ত সুনির্দিষ্ট পথে এগোচ্ছে। তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। অকল্পনীয় দুর্নীতি হয়েছে। যা সাধারণ মানুষকে শিহরিত করে দেবে। পরীক্ষাই দেননি অথচ নিয়োগপত্র পেয়েছেন। হাইকোর্টকে এদিন জানায় সিবিআই। আগামী ৪ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। পাশাপাশি, আদালত নির্দেশ দিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলের ১০ জন ঘনিষ্ট ব্যক্তির নথি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখারও।
অন্যদিকে, এদিন এসএসসি নিয়োগ মামলায় চাপ আরও বাড়ল কমিশনের উপরে। স্কুলশিক্ষক পদে বেআইনিভাবে বহু প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ, নবম ও দশম শ্রেণিতে বেআইনিভাবে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে তার তালিকা দিতে হবে। এনিয়ে কোনও টালবাহানা নয়। দেরি করা যাবে না। কারণ দুর্নীতির কারণে মেধাবীরা চাকরি পাননি। তাদের চাকরি দিতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে। ইতিমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। যারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি বাতিল করা হবে।
আরও পড়ুন, Anubrata Mondal: জেলেই পুজো কাটবে কেষ্টর! খোঁজ নিলেন, পার্থ কেমন আছে?
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশ শুনে আদালতে কমিশন জানায়, কত বেআইনি নিয়োগ হয়েছ সেটা কমিশনের পক্ষে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। কমিশনের ওই বক্তব্য শুনে বিচারপতি বলেন, বেআইনি নিয়োগ নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী ও মামলাকারীদের আইনজীবী বৈঠক করবেন। ওই বৈঠক করতে হবে এক সপ্তাহের মধ্যে। বেআইনি নিয়োগ নিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর একটি রিপোর্ট দেবে সিবিআই। দুর্নীতি শেষ করতে হবে। উপযুক্ত প্রার্থীরা যেন বঞ্চিত না হয়।
এসএসসির গ্রুপ সি-র শূন্যপদেও নিয়োগের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। বেআইনি নিয়োগের কারণে মোট ৩৫০ জনের চাকরি বাতিল হয়েছিল। সেইসব শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে। উল্লেখ্য, গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পদে, দুই ক্ষেত্রেই নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গ্রুপ ডি-র ৫৭৩ জনের চাকরি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয় গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পদে অবিলম্বে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্য়ে এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে।