নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজীব কুমারের খোঁজে তৎপর সিবিআই। রাজীব কুমারের খোঁজে চারদিক থেকে আঁটঘাট বেঁধে শহরে ছড়িয়ে পড়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সিবিআই-এর নজরে একদিকে যেমন রাজীব কুমারের বাসভবন ৩৪ নম্বর পার্কস্ট্রিট, ঠিক তেমনই রয়েছে তাঁর অফিস। আবার আলিপুর আদালতেও পৌঁছে গিয়েছেন সিবিআই আইনজীবী ও অফিসাররা। রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে মরিয়া সিবিআই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এই মুহূর্তে সিবিআই গোয়েন্দাদের একটি দল সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে নিজাম প্যালেসে ঢুকেছেন। সেখানে জড়ো হচ্ছেন আরও বেশ কয়েকজন সিবিআই অফিসার। রাজীব কুমারকে ধরতে ভিনরাজ্যের বাঘা বাঘা অফিসারদের নিয়ে আজই বিশেষ দল গঠন করে সিবিআই। ১৪ জনের সেই দলে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের দুঁদে অফিসাররা রয়েছেন। দলে রয়েছেন দুজন এসপিও।


এদিকে নিজাম প্যালেসে যাওয়ার জন্য সিবিআই-এর টিম সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরতেই তৎপরতা শুরু হয়ে যায় ৩৪ নম্বর পার্কস্ট্রিট-এ। মুহূর্তের মধ্যে পুলিস পুলিসে ছয়লাপ হয়ে যায় ৩৪ নম্বর পার্কস্ট্রিট। রীতিমতো দুর্গে পরিণত হয়েছে ৩৪ নম্বর পার্কস্ট্রিটের বাড়িটি। এই ৩৪ নম্বর পার্কস্ট্রিট একদিকে যেমন রাজীব কুমারের সরকারি বাসভবন তেমনই ডিসি সাউথেরও অফিসও। প্রসঙ্গত, ছুটির আবেদনে তাঁর অবস্থান হিসেবে এই ৩৪ নম্বর পার্কস্ট্রিটকেই উল্লেখ করেছেন রাজীব কুমার। সিবিআই-কে দেওয়া ডিজির জবাবি চিঠিতেও এই ঠিকানার কথা-ই উল্লেখ রয়েছে।


অন্যদিকে, বারাসত আদলতে ধাক্কা খাওয়ার পর আজই আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজীবের আইনজীবীরা। তাঁরা আবেদন করেন, যদি সিবিআই জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানার আর্জি জানায়, তবে যেন তাঁকেও কিছু বলতে দেওয়া হয়। অর্থাত্ দুপক্ষের কথা শুনেই যেন নির্দেশ দেয় আদালত। সেই আর্জি মেনে নিয়েছেন আলিপুর আদালতের বিচারক। রাজীব কুমারের বক্তব্য না শুনে সিবিআই-এর জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারির আর্জির মামলা শোনা হবে না, স্পষ্ট জানিয়েছেন আলিপুর আদালতের বিচারক।


আরও পড়ুন, এনআরসি গুজবে সরকারি দফতরে নথি সংশোধনের ভিড়, নাজেহাল কর্মীরা


তবে আজ রাজীবের আগাম জামিনের মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ আইনজীবীদের কথায়, বারাসত আদালত থেকে জুডিসিয়াল রেকর্ড আসতে মোটামুটি ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। সেক্ষেত্রে এদিন এই মামলার শুনানি হবে না বলেই মনে করছেন রাজীবের আইনজীবীরা।