খারাপ সিসিটিভি, জেল হাসপাতাল থেকেই ঘুমের ওষুধ, বন্দি পালানোয় সামনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
শনিবার ভোরে আলিপুর জেল থেকে পালিয়ে যায় তিন বিচারাধীন বাংলাদেশি বন্দি। ঘটনার তদন্তে নেমে জানা যায়, ঘুমের ওষুধ দিয়ে জেলরক্ষীদের অচৈতন্য করেই চম্পট দেয় বন্দিরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আলিপুর জেল থেকে বন্দি পালানোর ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গেছে, জেলের ভিতর অধিকাংশ সিসিটিভি-ই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, জেলগেটের স্ক্যানার মেশিনটিও দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। পাশাপাশি আরও জানা গেছে, জেল হাসপাতাল থেকেই ঘুমের ওষুধ নেয় বন্দিরা।
শনিবার ভোরে আলিপুর জেল থেকে পালিয়ে যায় তিন বিচারাধীন বাংলাদেশি বন্দি। ঘটনার তদন্তে নেমে জানা যায়, ঘুমের ওষুধ দিয়ে জেলরক্ষীদের অচৈতন্য করেই চম্পট দেয় বন্দিরা। শুক্রবার রাতে ওয়ার্ডে জয়নগরের মোয়া বিতরণ করা হয়েছিল। সেই মোয়ার মধ্যেই ঘুমের ওষুধ মিশিয়েছিল বন্দিরা।
এই ঘুমের ওষুধ বন্দিরা জেল হাসপাতাল থেকেই নিয়েছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর। আলিপুর জেল হাসপাতালে দীর্ঘদিন কোনও ফার্মাসিস্ট নেই। সেই সুযোগে নানা অছিলায় বার পাঁচেক জেল হাসপাতালে যায় ওই বন্দিরা। সংগ্রহ করে ঘুমের ওষুধ। তারপর সেই ঘুমের ওষুধ তারা মোয়াতে মেশায়। ফার্মাসিস্ট না থাকায় ইচ্ছেমত ওষুধ পেতে সুবিধে হয়েছে বন্দিদের।
এদিকে, শনিবার ভোরে ৫ নম্বর ও ৬ নম্বর টাওয়ার মাঝখানের এলাকা দিয়ে জেল পালায় বন্দিরা। কিন্তু ওই টাওয়ার দুটির সিসিটিভি খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় কোনও ফুটেজ মেলেনি। শুধু এই দুটি টাওয়ার নয়, মাত্র তিনটি সিসিটিভি ছাড়া জেলের অধিকাংশ সিসিটিভি-ই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি জেল গেটের স্ক্যানার মেশিনটিও দীর্ঘদিন ধরে খারাপ।
আরও পড়ুন, মোয়াতে ঘুমের ওষুধ! জেলরক্ষীদের অচেতন করে ফেরার ৩ বাংলাদেশি বন্দি
বন্দি পালানোর ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেল কর্তৃপক্ষের গাফলতির দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কারা বিভাগ। মেদিনীপুর জেলে বদলি করা হয়েছে আলিপুর জেলের জেলার শিবাজি রায়কে। তাঁর জায়গায় নতুন জেলার হচ্ছেন স্বপন দত্ত।