ট্যাংরা `অপহরণ` কাণ্ডে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এনে দুর্ঘটনার তত্ত্বেই শিলমোহর পুলিসের
গাড়িটিকে আগাগোড়াই ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে দেখা গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : অপহরণের অভিযোগ মিথ্যে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটা শুধুই দুর্ঘটনা। ট্যাংরার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ পুলিসের দাবিকেই মান্যতা দিচ্ছে। দেড় মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসে এমনটাই দাবি করেছে পুলিস।
কী হয়েছিল বুধবার রাতে ট্যাংরাতে?
একটি দেঢ় মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। যাতে গোটা বিষয়টা অনেকটাই পরিষ্কার। বুধবার রাতের দেড় মিনিটের ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ফুটেজের ২০ সেকেন্ডের মাথায় অপহরণের অভিযোগকারী মহিলা আরেক মহিলা ও একটি বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে গোবিন্দ খটিক রোড হয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক পিছনে, ফুটেজের ২৩ সেকেন্ডে ধরা পড়েছে মহিলার শ্বশুর রাস্তার প্রায় মাঝখান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। এরপর ফুটেজের ২৫ থেকে ২৭ সেকেন্ড, দেখা যাচ্ছে আরও পিছনে কিছু লোকজন দলবদ্ধভাবে হেটে যাচ্ছেন। ফুটেজের ৫০ সেকেন্ড পর্যন্ত এভাবে ৩ ভাগে ভাগ হয়েই তাঁরা রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলেছেন।
এর ঠিক ১০ সেকেন্ডের মাথায় অর্থাৎ ফুটেজের ১ মিনিটে গিয়ে প্রথম টুইস্ট। দেখা যায়, একটি ফ্লাশার লাগানো অ্যাম্বুলেন্স ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বেরিয়ে গেল। কয়েকজন লোক সেই গাড়িটিকে ধাওয়া করছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অভিযোগকারিণীর বয়ান অনুযায়ী যদি অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে তাঁকে তোলার চেষ্টা-ই করা হবে, তাহলে মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যে তা কি করা সম্ভব? দ্বিতীয় প্রশ্ন, মহিলা রাস্তার মাঝখানে ছিলেন। ফলে রাস্তার দিক ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন যে মহিলা তিনি টার্গেটের পক্ষে অনেক বেশি সুবিধাজনক হত। তাই না করে মাঝখানে থাকা মহিলার হাত ধরে টানা কি সম্ভব? যেখানে ঝুঁকি বেশি রয়েছে। আরও আশপাশের লোক রয়েছে।
আরও পড়ুন, 'পুলিসকে ঘুষ দিতে আমরাও তৈরি', ট্যাংরা 'অপহরণ' কাণ্ডে হাতে টাকা নিয়ে বিক্ষোভে মহিলারা
তৃতীয় প্রশ্ন, গাড়ির ইঞ্জিন চালু অবস্থায় সেটিকে দাঁড় করিয়ে তারপর মহিলাকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে পালানোর সময়ে গিয়ার্ বদল করে স্পিড তুলতে দশ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগার কথা। এখানে গাড়িটিকে আগাগোড়াই ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে দেখা গিয়েছে। যা দশ সেকেন্ডেরও কম সময়ে। এই সবকিছু খতিয়ে দেখেই প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস নিশ্চিত, অপহরণের অভিযোগ মিথ্যে ও উদ্দেশপ্রণোদিত। এটা শুধুই দুর্ঘটনা।