সুতপা সেন: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে টানাপোড়েন তুঙ্গে ছিল। আটশো কোম্পানী বাহিনী দেওয়া হবে বলা হলেও শেষপর্যন্ত পুরো বাহিনী আসেনি। কিন্তু সে সংখ্যক বাহিনী এসেছে তা মোতায়েন নিয়েও ক্ষুব্ধ বিএসএফ। বাহিনী মোতায়েন নিয়ে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে রাজ্য নির্বাচন কমিনকে চিঠি লিখছেন বিএসএফের আইজি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, শুক্রবার রাতে থেকে বাহিনী বসে ছিল। উত্তেজনাপ্রবণ জেলায় বাহিনী ছিল না।  ইচ্ছে করেই কি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়নি? প্রশ্ন তুললেন বিএসএফ আইজি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সাতটি খুন এগুলি স্টেটের বিরুদ্ধে ক্রাইম, পুলিস ব্যবস্থা নেবে: নির্বাচন কমিশন


বিএসএফের আইজি লিখেছেন, গতকাল রাত থেকেই বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। সেখানে তারা গিয়েছে তাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের থাকার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। তাদের যাতায়াতের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি তাদের বুথে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়নি। চরম অব্যবস্থার মধ্যে তাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। গতকাল রাত দুটো নাগাদও বিএসএফ আইজি কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন, স্পর্শকাতর বুথগুলির তালিকা বিএসএফকে দেওয়া হয়নি। ফলে বাহিনীকে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। 


এদিকে, ওই চিঠির পর বিএসএফের আইজিকে আজ ডেকে পাঠান নির্বাচন কমিশনার। বিএসএফ আইজিকে তিনি বলেন, স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ডিএমদেরও ওইসব স্পর্শকাতর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। তবে এর পরই বিএসএফের আইজি চিঠি লিখে জানালেন, বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ আসছে বাহিনী আসছে। কিন্তু তাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বুথ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের থাকা খাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। চরম অব্যবস্থা বিভিন্ন জেলায়। 


শনিবার সিআরপিএফের ডেপুটি কমান্ডেন্ট দিলীপ মালিক এসেছিলেন নির্বাচন কমিশনের দফতরে। বিকেল চারটে পর্যন্ত তিনি বসেছিলেন নির্বাচন কমিশনের দফতরে। সেখান থেকেই তিনি নির্বাচনের পরিস্থিতির উপরেই নজর রাখেন। অর্থাত্ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটা নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। এমনটাই মনে করছে কোনও কোনও মহল। কিন্তু কমিশন-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরজা শেষ হচ্ছে না। অর্থাত্ নির্বাচন কমিশন বলছে তারা স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তারা পাঠিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহনীর যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসার অর্থাত্ বিএসএফের আইজি ওই কথা স্বীকার করেননি। উল্টে অব্যবস্থা নিয়ে কড়া চিঠি লিখলেন কমিশনকে। কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হচ্ছে, কেন বাহিনী পাঠানো নিয়ে অব্যবস্থা তানিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিএসএফ আইজি।


এদিকে, ভোটের দিনই রাজ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আঙুল উঠছে নির্বাচন কমিশনের দিকে। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা বলেন, 'সন্ত্রাস আটকানোর দায়িত্ব রাজ্য প্রশাসনের। আমাদের দায়িত্ব ব্যবস্থাপনা সঠিক রাখার। আমরা সেটা করেছি। তবে কেউ তো গ্যারান্টি দিতে পারবে না কে কোথায় কাকে গুলি করে মেরে দেবে'।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)