নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল তাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট জমা দিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা ও রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি লিখে নিজেদের পর্যবেক্ষণ জমা দিলেন দক্ষিণবঙ্গে নিযুক্ত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্রা। এই রিপোর্টে অপূর্ব চন্দ্রা রাজ্যের তরফে তথ্য গরমিলের অভিযোগ এনেছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তাঁর বক্তব্য, ৩০ এপ্রিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে যে সংখ্যক অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা দেখানো হয়েছিল, কেন্দ্র সরকারকে পাঠানো রিপোর্টে সেই রোগীর সংখ্যা তার থেকে অনেক বেশি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা বুলেটিনে বলা হয়েছে, অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৫৭২। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠানো রিপোর্টে রোগীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৯৩১। পাশাপাশি চিঠিতে মৃতের সংখ্যা নিয়েও তথ্য লুকানোর মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন অপূর্ব চন্দ্রা। চিঠিতে উল্লেখ, দেশের মধ্যে মর্টালিটি রেট সবচেয়ে বেশি পশ্চিমবঙ্গে, ১২.৮ শতাংশ।


প্রসঙ্গত, দু'সপ্তাহ রাজ‍্যে থেকে দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলা কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনা পরিদর্শন করেন এই দলটি। এই চার জেলায় কমবেশি ৫০ লক্ষ মানুষ রয়েছেন। কিন্তু এই ৪ জেলা পরিদর্শনকালে এত বিশাল সংখ্যক মানুষের জন‍্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে যা যা গ্রহণ করা উচিত ছিল, সেসব কিছুই তাঁরা দেখেননি বলে চিঠিতে লিখেছেন অপূর্ব চন্দ্রা। তবে টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো ও ল্যাবের জন্য অস্থায়ী ডাটা অপারেটর নিয়োগের যে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নিয়েছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অপূর্ব চন্দ্রা।


আরও পড়ুন, ATM-এ পড়ে কড়কড়ে ১০ হাজার টাকা, ব্যাঙ্কে ফিরিয়ে দিয়ে নজির সবজি বিক্রেতার