নিজস্ব প্রতিবেদন: বিবাদী বাগে বিস্ফোরণের দায়িত্ব নিয়ে অস্বীকার করল সিইএসসি। তাদের দাবি, বিস্ফোরণের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে। বৈদ্যুতিক কারণে বিস্ফোরণ হলে সিইএসসির সমস্ত সামগ্রী অটুট থাকে কী করে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার বিকেল ৫.৪০ মিনিটে বিনয় বাদল দীনেশ বাগে স্টিফেন হাউজের সামনে প্রবল বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে ফুটপাথে তৈরি হয় ১০ ফুট গভীর গর্ত। ফুটপাথের ইট ছিটকে গিয়ে পড়ে প্রায় ২০ ফুট দূরে। রবিবার হওয়ায় গোটা ডালহৌসি চত্বর ছিল শুনশান। তাই কেউ হতাহত হননি। সপ্তাহের কাজের দিন হলে কী হতে পারত... বিস্ফোরণে তৈরি গর্ত দেখে শিউরে উঠছেন সবাই। 


 



এদিন বিস্ফোরণের পর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস ও দমকল। প্রাথমিক তদন্তের পর বৈদ্যুতির শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণ বলে দাবি করে দুপক্ষই। ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিইএসসির আধিকারিকরাও। পরীক্ষা নীরিক্ষার পর তাদের দাবি, বিস্ফোরণের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তাদের দাবির স্বপক্ষে একাধিক যুক্তিও খাড়া করেছেন সিইএসসির আধিকারিকরা। 


ভর সন্ধ্যায় বিবাদী বাগে বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠল মাটি


১. শর্ট সার্কিটে বিস্ফোরণ হলে কোনও বৈদ্যুতিন সামগ্রীর ক্ষতি হল না কেন?


২. ওই এলাকায় সিইএসসির ফিডার বক্স রয়েছে। তার সব ক'টিই অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। 


৩. শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণ হলে সঙ্গে সঙ্গে এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। এদিন বিস্ফোরণের পরেও এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনও প্রভাব পড়েনি। 


৪. শর্ট সার্কিটের জেরে বিস্ফোরণ হলে অত বড় গহ্বর তৈরি হওয়া কী করে সম্ভব?


বিস্ফোরণের কারণ জানতে আগামিকাল ঘটনাস্থলে যাবে কলকাতা পুলিসের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। 


ওদিকে ঘটনার পর সেখানে যান যুগ্ম পুলিস কমিশনার মুরলীধর শর্মা। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে কোনও বিস্ফোরণের সন্ধান মেলেনি।