নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের আর্থিক বিপর্যয় থেকে নজর ঘোরাতে চন্দ্রযান ২ নিয়ে মাতামাতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার মধ্যরাতে চাঁদের মাটিতে অবতরণের আগে সংকেত পাঠানো বন্ধ করে দেয় বিক্রম ল্যান্ডার। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করলেন, মুখ্যমন্ত্রী বাগড়া দেওয়ায় ব্যাপারটা কেঁচে গেল।          


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেছিলেন, ''মনে হচ্ছে প্রথমবার চন্দ্রযান পাঠানো হল। ওরা ক্ষমতায় না থাকলে যেন এই ধরনের অভিযান হতো না। এটা অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা। বিজেপি নেতারা চাঁদে গিয়ে জায়গা রাখুন। ওখানে গিয়ে ফ্ল্যাট বানিয়ে থাকুন।'' ওই মন্তব্যেরই পাল্টা শনিবার দলের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,''উতক্ষেপণ সফল হয়েছে। অবতরণ হয়নি। বিক্রম কোথায় গিয়েছে খোঁজ নেই। বিজ্ঞানীরাই বলতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী বাগড়া দেওয়ায় ব্যাপারটা কেঁচে গেল।''


দিলীপের খোঁচা, ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দিলে উনি কষ্ট পান। তিন তালাক রদ হলে হলে ওনার কষ্ট। চন্দ্রযান গেলে কষ্ট। ওনার কীসে আনন্দ বুঝতে পারলাম না!'' 



চন্দ্রযান ২ নিয়ে কি সরকার অত্যাধিক প্রচার করে ফেলেনি? দিলীপের জবাব, গোটা দেশে আত্মবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, আমরাও পারি। কেউ কেউ হতাশ হয়ে যাচ্ছেন। হতাশার কারণ নেই মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায় কিছুটা এগিয়েছে বাকিটা সফল করে দেখাবেন বিজ্ঞানীরা।  


পরে সভায় দিলীপ বলেন,''গতকাল চন্দ্রযান ২ নিয়ে গোটা দেশ জেগে ছিল। যেভাবে জন্মাষ্টমীতে থাকে। উত্সাহ উদ্দীপনার সঞ্চার হয়েছে। কিছু মানুষকে দেখছি ভারতের কষ্ট হলে আনন্দ হয়, কষ্ট হলে দুঃখ পান না। দুর্ভাগ্যবশত পাকিস্তানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নিচ্ছেন। নকশালপন্থীরা আনন্দ করেছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও কষ্টের মধ্যে ছিলেন। চন্দ্রযান পৌঁছে গেলে সরকার ভেঙে যাবে বলে বোধহয় উতকণ্ঠায় ছিলেন। আমার মনে হয় রাত ২ টোর পর শান্তিতে ঘুমিয়েছেন, যাক পৌঁছতে পারেনি বেঁচে গিয়েছি। ইমরানের সুর ও মমতার সুর এক হয়ে গিয়েছে।''


আরও পড়ুন- আমেরিকা, ইজরায়েলকে ম্যানেজ করলেও বাংলাকে পারবেন না, মোদীকে চ্যালেঞ্জ মমতার