কলকাতায় কেমিক্যাল অ্যাটাক, আক্রান্ত তিন ব্যবসায়ী ভাই
খাস কলকাতায় কেমিক্যাল অ্যাটাক। তিন ব্যবসায়ী ভাইয়ের ওপর উল্টে দেওয়া হল রাসায়নিক ভর্তি ড্রাম। ব্যবসায় নিতান্ত সাদামাটা ঝামেলা। সেটাই হয়ে দাঁড়াল ভয়ঙ্কর। শেখ নাজিম নামে এক অভিযুক্ত গ্রেফতার। ফেরার তার সঙ্গীরা।
ওয়েব ডেস্ক: খাস কলকাতায় কেমিক্যাল অ্যাটাক। তিন ব্যবসায়ী ভাইয়ের ওপর উল্টে দেওয়া হল রাসায়নিক ভর্তি ড্রাম। ব্যবসায় নিতান্ত সাদামাটা ঝামেলা। সেটাই হয়ে দাঁড়াল ভয়ঙ্কর। শেখ নাজিম নামে এক অভিযুক্ত গ্রেফতার। ফেরার তার সঙ্গীরা।
যন্ত্রণায় কাটছে প্রতিটি মুহূর্ত। দেহের সত্তর শতাংশই পুড়ে গিয়েছে মহম্মদ নিশাদ, মহম্মদ আসলাম পরভেজের। আরেক ভাই মহম্মদ ইমরানের ফর্টি পারসেন্ট বার্ন। শুধুই শরীর পুড়ে যাওয়া নয়, দেহের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেরও ক্ষতি হয়েছে রাসায়নিক হামলার জেরে।
সাপ্লাই দেওয়া মালপত্রের মান নিয়ে গণ্ডগোল। তা যে এই পর্যায়ে যাবে, ভাবতে পারছেন না কেউই। লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার কড়াইডাঙায় চামড়ার ব্যবসা করেন আক্রান্তরা। বহুদিন ধরে চলছে। শেখ রফিক, শেখ নাজিম নামে উত্তরপ্রদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের যোগ ছিল। সম্প্রতি মালপত্রের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। খারাপ মাল পাঠানো হচ্ছে তাঁদের, অভিযোগ তোলে শেখ রফিক, শেখ নাজিম।
দুপক্ষের ঝামেলা চলছিলই। এরই মাঝে কলকাতায় আসে রফিক, নাজিমরা। অভিযোগ, ৩ ভাই মহম্মদ ইমরান, মহম্মদ নিশাদ ও মহম্মদ আসলাম পরভেজ একটি জায়গায় বসে আড্ডা মারছিলেন। সেই সময় ১৪-১৫জন দুষ্কৃতীকে নিয়ে গাড়ি করে সেখানে আসে শেখ রফিক, শেখ নাজিম। আরও একবার চামড়ার মান নিয়ে বচসা বেঁধে যায় দুপক্ষের মধ্যে। সামনেই রাখা ছিল রাসায়নিকের ড্রাম। অভিযোগ, ৩ ভাইয়ের দিকে সেই ড্রাম ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়।
গুরুতর আহত হয়েছে ৩ ভাই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। লেদার কমপ্লেক্স থানা ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত শেখ নাজিমকে। বাকিদের খোঁজে চলছে চিরুণি তল্লাসি।
গতমাসেই সোনারপুরে তোলা না পেয়ে দোকানমালিকের গায়ে ফুটন্ত চা ঢেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। তার কয়েকদিন আগেই, ছাব্বিশে জানুয়ারি সল্টলেকের CF ব্লকে খাবার কেনা নিয়ে বচসার জেরে, রেগে গিয়ে খদ্দেরদের ওপরেই গরম তেল ছুঁড়ে দেয় দোকান কর্মীরা। এবার ছোড়া হল রাসায়নিক। বারবার কেন হচ্ছে এমনটা? কেন জীবন নিয়ে এমন ছিনিমিনি! প্রাণ কি এতই সস্তা? (আরও পড়ুন- ফ্যান্সি মার্কেট এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া জাল নোট তৈরি হতো হাওড়ায়!)