নিজস্ব প্রতিবেদন : জেএনইউ কাণ্ডে আক্রান্ত ঐশী ঘোষের পাশে  দাঁড়ানোয় দিপীকাকে (Deepika Padukone) নিয়ে ছড়িয়েছে বিতর্ক। আক্রান্ত ছাত্র সংসদ সভানেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে দীপিকা, রবিবার রাতে সংবাদমাধ্যম থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই 'ছপক' (Chhapaak) বয়কটের ডাক দেয় গেরুয়া শিবির। যার জেরে 'পদ্মাবত'-এর পর 'ছপক' ছবি মুক্তি ঘিরেও উত্তেজনা দেখা দেয়। যদিও কলকাতায় আজ 'ছপক' মুক্তি ঘিরে কোনও অশান্তি বা উত্তেজনার খবর নেই। অশান্তি এড়াতে আগাম ব্যবস্থা নিয়েছিল প্রশাসন। কলকাতায় এদিন মোট ১৫টি জায়গায় 'ছপক' মুক্তি পায়। প্রতিটি হলেই পুলিসি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নির্বিঘ্নেই হয় ছবি প্রদর্শন। পুলিসি নজরদারির মধ্যেই কলকাতায় সুপারহিট দীপিকার 'ছপক'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হল ফেরৎ এক দর্শক, সল্টলেকের বাসিন্দা অরুণিমা রায় জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, "সিনেমার একটি সামাজিক  দিক আছে। কে কোথায়  গিয়েছে, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। এর সঙ্গে সিনেমাকে মেলানো উচিত নয়।" আরেক দর্শক বাগুইআটির তথাগত রায় সকাল সকাল বন্ধুদের নিয়ে পৌঁছে যান হলে 'ছপক' দেখতে। দর্শকরা জানাচ্ছেন, হলে হলে পুলিসি নজরদারি জারি রয়েছে। পুলিস এসে বার বার করে খোঁজ নিয়ে যায়। সাধারণ মানুষের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কটের ডাককে ঘিরে শোরগোল দেখা দিলেও, সিনেমাপ্রেমী মানুষ সেইসব হুঙ্কার উপেক্ষা করেই ছবি দেখতে পথে বেরিয়েছে। আর তাই কলকাতায় প্রথম দিনেই সুপারহিট 'ছপক'। দীপিকার 'ছপক'  ঘিরে কলকাতার মানুষের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে।


আরও পড়ুন, ছপক: লক্ষ্মীর আইনজীবীর নাম ছবিতে উল্লেখ করতে হবে নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের


সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি 'ছপক'। অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের জীবনের গল্প বলছে 'ছপক'। অ্যাসিড হামলায় লক্ষ্মী আগরওয়ালের বদলে যাওয়া জীবনের কথা, তাঁর লড়াই, তাঁর ঘুরে দাঁড়ানোর কথাকে তুলে ধরা হয়েছে 'ছপক'-এ। ছবির ট্রেলর বেরনোর পর থেকেই ছবি ঘিরে তুঙ্গে ওঠে উন্মাদনা। ট্রেলরেই প্রশংসা কুড়ায় দীপিকার অভিনয়। ছবির লুকে অবশ্য আগেই চমকে দিয়েছিলেন দীপ্পি। সবমিলিয়ে জানুয়ারিতে সবার নজর যে 'ছপক'-এ থাকবে, তা মোটামুটি স্পষ্ট হয়েই গিয়েছিল। উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ে ইতিমধ্যেই করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে 'ছপক' ছবির প্রদর্শন।