ওয়েব ডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে সিঙ্গুরে জমি ফেরত শুরু। নবান্নে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওইদিন সিঙ্গুর যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালিকদের হাতে নিজেই জমি তুলে দেবেন। গোপালনগর মৌজা থেকে শুরু হবে জমি ফেরতের কাজ। ১০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে জমি ফেরতের কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখা সিঙ্গুরের কৃষকদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিঙ্গুরে টাটাদের গাড়ি কারখানার জন্য অধিগৃহীত জমি চাষযোগ্য করে ফেরাতে হবে মালিকদের। নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। এজন্য রাজ্যকে ১২ সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আর মুখ্যমন্ত্রী ডেডলাইন দেন ২১ অক্টোবর। দুই ডেডলাইনের পার হওয়ার আগেই আশি শতাংশ কাজ শেষ। ২০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার থেকেই সিঙ্গুরে শুরু হচ্ছে জমি ফেরতের কাজ।


আরও পড়ুন জীবনের সেরা শিক্ষাটা কোনও ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমাদের দিয়েছেন অনিল কুম্বলে


জমি ফেরতের কাজ কতটা এগোল সোমবার তা তদারকি করতে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ভূমি সংস্কার সচিব ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে সিঙ্গুরে জমি নিয়ে রিপোর্ট দেন তাঁরা। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন সিঙ্গুরের আশি শতাংশ জমিই চাষযোগ্য। বৃহস্পতিবার তিনি নিজে সিঙ্গুরে গিয়ে মালিকদের হাতে জমি তুলে দেবেন।


আপাতত ঠিক হয়েছে, সিঙ্গুরের কৃষকদের হাতে নোটে শাক, পালং শাক ও ডাল বীজ তুলে দেবে কৃষি দফতর। চাষের জমি জল সরবরাহের জন্য ৬৬টি মিনি পাম্প বসাবে সেচ দফতর। কৃষকদের মধ্যে বিলি করা হবে জৈব সারও। ১ মাসের মধ্যেই সিঙ্গুরের মাটিতে শাক ও ডাল উত্‍পাদন শুরু হবে।


আরও পড়ুন রাজ্যে বাড়ছে নারী নির্যাতন, জেনে নিন তার তথ্য পরিসংখ্যান


মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন গোপালনগর মৌজার কৃষকরা। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার এখান থেকেই শুরু হবে জমি ফেরতের কাজ। ইতিমধ্যে তৈরি ২১১ জন কৃষকের তালিকা। যাঁর হাত ধরে লড়াই সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকেই মিলবে জমির অধিকার। উচ্ছ্বসিত কৃষকরা।


গোপালনগর মৌজায় সাজো সাজো রব। ১০০ একর জমির প্লট নম্বর দেওয়া হয়ে গেছে। বসে গেছে বোর্ডও। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে বাকি ২০০ একর জমির প্লট নম্বর দেওয়ার কাজও শেষ হয়ে যাবে। জোর তত্‍পরতা সিঙ্গুর জুড়ে। নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু সিঙ্গুরের।