জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একদিকে কলকাতায় বিজেপির শাহী সভা। অন্যদিকে, বিধানসভা ভবনে তৃণমূল। লোকসভা ভোটের আগে শক্তি প্রদর্শনে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূল। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যখন বিধায়কদের ল্যাড-এর জন্য টাকা বাড়ানো হয় তখন তো চিৎকার করেন না। যাদের পকেট ভর্তি তারা চিৎকার করছেন অথচ অনেক এমএলএ-র টাকা নেই। ২১ লক্ষ মানুষ ১০০ দিনের কাজ করার পরও টাকা পেল না। তাদের জন্য আপনাদের হৃদয় কাঁপল না। মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে রাখেন। আছে যার যার ভুরি ভুরি, সেই করে বেশি চুরি। গেরুয়া বসন পড়লেই সাধু হওয়া যায় না।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, WB Assembly: নজিরবিহীন অনুপস্থিতি বিধানসভায়! প্রথম ৭ প্রশ্ন কর্তা-ই গরহাজির অধিবেশনে


তিনি আরও বলেন, ' ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা, বাড়ি ভেঙে মানুষ মারা গেল, গরীব মানুষ মারা গেল। তাদের ব্যাপারে বললেন না। আমরা তাদের দেখছি। টাকাটা কাদের? রাজ্যের টাকা। মাছের তেলে মাছ ভাজা। আমাদের প্রাপ্য টাকা দিয়ে নিজেদের ছবি লাগাচ্ছে। ক্রিকেট, ফুটবল, রেল স্টেশন, মেট্রো সব গেরুয়া করে দিয়েছে। সুস্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের চিঠি দিচ্ছে। ওয়াশরুম খালি পিএমের নামে করতে বাকি রেখেছ।'


মমতার ক্ষোভ,  'একটা গরিব লোক একটা বিড়ির বদলে দুটো খেলে তাকে চোর চোর বলেন। যারা সব চুরি করেছে তারা আজ সাধু। গেরুয়া পরলেই যদি সবাই সাধু হয়ে গেলে তপস্যার প্রয়োজন ছিল না। কৃষকদের রবি শষ্যের জন্য টাকা রেডি করে রাখি তখন দেখেন না। আমরা ন্যায়ের রাজনীতি করি। জিএসটির নামে ট্যাক্স তুলে নিয়েছে। আমাদের প্রাপ্য টাকা দিয়ে নিজেদের ছবি লাগাচ্ছে। আমি ইচ্ছে করলেই সিএম স্কিম করতে পারতাম, করিনি। পুরো ইউরোপকে যুক্ত করসে যে সংখ্যা হয় সেটা বাংলার স্বাস্থ্য সংখ্যা। অবৈধ খনি বলে যাদের বন্ধ করে দিয়েছিল তাদের লোক কাল উদ্ধার করল। ওরা সবাই সংখ্যালঘু ছেলেমেয়ে।' 


উত্তর পূর্ব ভারতে বিধানসভায় বড়জোড় ১০-১৫ হাজার ভোট। আর এখানে বিধানসভায় লক্ষাধিক ভোটার। এখানে অনেকদিন জনগণনা হয়নি। বাম আমলে একটা ভুল করে দিয়ে গিয়েছিল। বিহারের থেকে আমাদের লোক বেশি। অবৈধ খনন বন্ধ হয়েছে। আমরাও তার পক্ষে। কারণ চাকরি দরকার। আর কালকে তাদের ছেলেরাই রেসকিউ করল।


ডিএ নিয়ে বড় বড় কথা। বামেদের জন্য আমার এই সমস্যা। ওদের দেনা শোধ করতে করতে যেতে হচ্ছে। আমরা পঞ্চম বেতন কমিশনকে মান্যতা দিয়ে ৯০% ডিএ দিয়েছি ২০১৯ অবধি। ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু করে তারপরে। নতুন পে সুপারিশ কার্যকরী করতে গিয়ে ২ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচা করেছে। আমরা প্রতি বছর দিই। আর মনে রাখুন ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, ডিএ অপশনাল।


কারও আপত্তি থাকলে কেন্দ্রীয় সরকারে গিয়ে কাজে যোগ দিন। আমরা তো আটকায়নি। মনে রাখুন কেন্দ্রীয় সরকার ৩-৪ দিন ছুটি দেয়। আর আমরা ৪০-৪৫ দিন ছুটি দিই। এই গুলো মাথায় রাখবেন। আমরা ১০ বছরে একবার বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আর ৫ বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ১০০ দিনের কাজ যারা করেন, তাদের আমি কাজ করাচ্ছি


এক শ্রেণীর লোক সব পাবে। আর গরীব মানুষ কিছু পাবে না। তাদের জন্য কিছু নয়। তারা খালি অট্টালিকা বানাবে। আমাদের রাজ্যে বিরোধী দল মিথ্যা কথা ছাড়া সত্যি কথা বলে না। বাংলাকে বঞ্চনা করছে। স্বাস্থ্য টাকা বন্ধ। খাদ্যে বন্ধ করতে চলেছে। গ্যাসের দাম ভোট বলে কমাচ্ছে। বেটি বাঁচাও, বেটি ভাগাও হয়েছে। হেরিটেজ ভেঙে দিচ্ছে। আমার দুঃখ লাগে যে আমি যেখানে বসে কাজ করতাম সেটাও ভেঙে দিয়েছে। 


বাংলা একমাত্র রাজ্য যারা অবসরকালীন ভাতা দেয়। বিজেপির কিছু ফেউ হয়েছে। যারা বিভাজন করে বেড়ায়। তাদের মুখে বঞ্চনার কথা শোনা যায় না। বাংলাতে ওরা অত্যাচার, অনাচার করেছে। অপসংস্কৃতি করেছে। কেউ যদি ভাবেন আমি ক্ষমতায় আছি বলে রবীন্দ্রনাথের নাম বাদ, লালকেল্লা, এয়ার ইন্ডিয়া, সেল বেচে দিলাম। ইন্দোনেশিয়া থেকে বেশি দামে কয়লা কিনতে হবে।


সারা দেশকে ভিখারি করে দিয়ে, তৃণমুলকে বলে চোর। এক দুজন সব জায়গায় আছে। সিপএম থেকে আসা কেউ কিছু করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর যাদের কোটি কোটি টাকা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়, কৃষ্ণ কল্যাণী, তন্ময় কে থ্রেট করল। গুটি গুটি পায়ে ইনকাম ট্যাক্স চলে গেল। আগামী দিনের জন্য অপেক্ষা করুন। কে কোথায় যাবেন? কোন বিদেশে টাকা রেখেছেন সব হিসাব হবে। তোমাদের কাটমানি কাঠে কাঠে হয়। আগামী দিন এরা থাকবে না। প্রত্যেক দেনা পাওনা কড়ায় গন্ডায় মিটিয়ে নেব। 



আরও পড়ুন, JU Ragging: যাদবপুরের মেইন হস্টেলে ফের র‌্যাগিং! হস্টেল বদলের আবেদন পড়ুয়ার


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)