স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে জট, বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক মুখ্যসচিবের
দ্রুত সমস্যা সমাধানের নির্দেশ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে সাধের 'স্বাস্থ্যসাথী' প্রকল্পে জট। বেসরকারি হাসপাতালগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর দ্রুত সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলির দাবি মেনে প্যাকেজের পূর্ণমূল্যায়ণ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, স্রেফ আশাকর্মী বা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাই নন, সম্প্রতি রাজ্যের সমস্ত মানুষকেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, রাজ্যে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালই শুধু নয়, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেখিয়ে চিকিৎসা করানো যাবে ভিনরাজ্যেও। পরিবার পিছু মিলবে ৫ লক্ষ টাকার বিমা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর এই প্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের উৎসাহ আরও বেড়েছে। বস্তত, দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে সবচেয়ে বেশি ভিড় হচ্ছে স্বাস্থ্যসাথীর শিবিরেই। কিন্তু ঘটনা হল, সরকারি প্রকল্পে রোগীদের পরিষেবা দিতে নারাজ রাজ্যের প্রায় সমস্ত হবে বেসরকারি হাসপাতালই।
কেন? বেসরকারি হাসপাতালগুলির দাবি, সরকার যে রেট বেঁধে দিয়েছে, তাতে রোগীদের সঠিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। সবাইকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা দিতে হলে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বকেয়া টাকাও মিটিয়ে দিতে হবে ৩০ দিন বা একমাসের মধ্যে। সোমবার বেসরকারি হাসপাতালে সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। সূত্রের খবর, বৈঠকে যখন হাসপাতালে পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে বলা হয়, তখন পাল্টা নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিরাও। তবে যদি রেট যদি নাও বাড়ে, সেক্ষেত্রে রোগীদের ফেরত পাঠানো যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। এরপরই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জট কাটাতে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব নিজে। সমস্যা কী মিটবে? এখন সেটার দেখার।