নিজস্ব প্রতিবেদন: টোটোর ধাক্কায় পাচ বছরের শিশুর পাঁজরের হাড় ভেঙে গেঁথে গেল ফুসফুসে। চার চারটে হাসপাতাল ঘুরেও মিলল না চিকিত্‍সা! ফিরিয়ে দিল সরকারি হাসপাতালও!  বেহাল স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সাক্ষী রইল গঙ্গাপাড়ের যমজ শহর হাওড়া আর কলকাতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেলুড়ের ঠাকুরানি পল্লি এলাকার বাসিন্দা একতা শর্মা। বুধবার দুপুরে বাড়ির সামনে রাস্তায় খেলছিল ৫ বছরের শিশু। আর তখনই দুর্ঘটনা। টোটোর ধাক্কায় পাঁজরের হাড় ভেঙে একতার ফুসফুসে গেঁথে যায়। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাকে নিয়ে শুরু হয় পরিবারের চড়কিপাক।


আরও পড়ুন- অ্যাঞ্জিওগ্রাম করতে গিয়ে ধমনী ছিঁড়ে মৃত্যু, কাঠগড়ায় এসএসকেএম


বুধবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ঘটে দুর্ঘটনা। দুপুর ১.৩০টায় শিশুকে হাওড়া জয়সওয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, ভর্তি নিতে রাজি হয়নি জয়সওয়াল। বিকেল ৫টা নাগাদ পরিবার পৌঁছে যায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও ভর্তি করা গেল না। হাসপাতালের যুক্তি , জটিল অস্ত্রোপচারের পরিকাঠামো নেই। এরপর গাড়ি ঘুরিয়ে সোজা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ৮টা। কিন্তু এখানেও হতাশা। পরিবারের অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, অপারেশনের এত বড় রিস্ক তারা নিতে পারবে না। রাত সাড়ে দশটায় শিশুকে নিয়ে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছয় পরিবার। কিন্তু সেখানেও চিকিত্‍সা মেলেনি বলে অভিযোগ। ভোর ৩টে নাগাদ মৃত্যু হয় ৫ বছরের একতার।


আরও পড়ুন- বেঙ্গল টাইগারের দেহরক্ষী জার্মান শেফার্ড!


বেহাল স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর পাশাপাশি উঠে এসেছে বেপরোয়া টোটো দৌরাত্ম্যের অভিযোগ।