ওয়েব ডেস্ক : দুর্গানগরেও বিস্তৃত ছিল শিশুপাচারের জাল। নেপথ্যে উত্পলা ব্যাপারি আর তাঁর স্বামী রাজা। অন্তঃসত্ত্বাদের প্রথমে দুর্গানগরে আনা হত। সদ্যোজাতদেরও এখন থেকেই পাচার করা হত। ক্রমশ প্রকাশ্যে শিশু পাচারের জাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পেশায় বাস  ড্রাইভার। সেখান থেকে শিশু পাচার চক্রের পাণ্ডা। স্ত্রী উত্পলার সঙ্গে মিলে এভাবেই সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল রাজা ব্যাপারী। অন্তঃসত্ত্বাদের সঙ্গে নার্সিংহোমের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়াটাই ছিল রাজার কাজ। দুর্গানগরেই চলত রাজার রাজত্ব। তার বাড়ির পাশেই থাকত পিঙ্কি রায়। পাচার চক্রের আরেক চক্রী। রাজার মাধ্যমেই উত্পলার সঙ্গে যোগাযোগ হয় আরেক বাস চালক সত্যজিত্ সিনহার। উত্পলার সাহায্যেই সত্যজিত্‍ মসলন্দপুরের ট্রাস্টে অ্যাম্বুল্যান্স চালক হিসেবে যোগ দেয়। উত্পলা-রাজা-পিঙ্কি-সত্যজিত্, শেষ পর্যন্ত এই চারজনে গড়ে তোলে পাচারের নেটওয়ার্ক।


কীভাবে চলত পাচার?


অসহায় অন্তঃসত্ত্বাদের প্রথমে দুর্গানগরেই নিয়ে আসত রাজা। প্রথমে তাঁদের পিঙ্কির বাড়িতে রাখা হত। সেখান থেকে  নার্সিংহোমে নিয়ে যেত উত্পলা। জন্মের পর পিঙ্কির বাড়িতেই সদ্যোজাতদের নিয়ে আসা হত। সেখান থেকে পাচার হয়ে যেত শিশুরা। রাজা ব্যাপারীর দুর্গানগরের এই বাড়িতে অ্যাম্বুল্যান্সে করে আনা হত অন্তঃসত্ত্বাদের। বাড়ির সামনে মাঝে মধ্যেই অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছেন স্থানীয়রা। শিশু পাচার চক্রের পর্দা ফাঁসের পর থেকে এলাকায় দেখা যায়নি রাজাকে। চক্রী চিকিত্সক। শিশু পাচারে যুক্ত চিকিত্সক সন্তোষ সামন্তকে হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি।  মোটা টাকার বিনিময়ে শিশু বিক্রি  করতেন তিনিও। জানা গেছে,
বর্ধমান থেকে কলকাতায় আসেন চিকিত্সক সন্তোষ সামন্ত।


শিয়ালদার সেবাসদন ক্লিনিকে যুক্ত ছিলেন। সেখান থেকে এক আয়ার মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণ নার্সিংহোমের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তার। ২০১২ থেকে শ্রীকৃষ্ণ নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সন্তোষ সামন্ত। শিশুপিছু তার আয় হত ৬০-৭০ হাজার টাকা।


চক্রের পিছনে কে?


কিন্তু শুধুই কি রাজা, উতপলা, পিঙ্কি, বা সন্তোষ সামন্তরা?   নাকি এই চক্রের পিছনে আরও বড় কোনও মাথা রয়েছে? সেই খোঁজেই এখন তদন্তকারীরা।