সঞ্জয় ভদ্র: শীতলকুচিকাণ্ডে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিস সুপারকে ৭২ টি প্রশ্ন করলেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা। সবকটি প্রশ্নেরই অসংলগ্ন উত্তর দিয়েছেন দেবাশিস ধর। সূত্রের খবর তেমনই। আগামী ২২ জুলাই ফের তলব করা হয়েছে কোচবিহারের প্রাক্তন SP-কে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেদিন ছিল চতুর্থ দফা ভোটগ্রহণ। ১০ এপ্রিল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শীতলকুচি। জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে ব্যাপক গণ্ডগোল শুরু হয়। গণ্ডগোল থামাতে গিয়ে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ, বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাহিনীর তরফে যা বলা হয়েছিল, সেই একই কথা বলেছিলেন কোচবিহারের তত্‍কালীন পুলিস সুপার দেবাশিস ধরও। বলেছিলেন, আত্মরক্ষার স্বার্থেই সেদিন গুলি চলেছিল।


আরও পড়ুন: Sisir ও Sunil-র অবস্থান জানতে পাঠানো হচ্ছে নোটিস, জানালেন লোকসভার অধ্যক্ষ


ঠিক কী ঘটেছিল শীতলকুচিতে? তদন্তে নেমেছে সিআইডি। পুলিস সুপার দেবাশিস ধরকে সাসপেন্ড করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ভবানীভবনে প্রাক্তন সিপি-কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা প্রথমেই জানতে চান, 'আপনি কি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন'? জবাব আসে, 'সেদিন ভোট ছিল। বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি করতে হচ্ছিল। সেকারণে অতিরিক্ত পুলিস সুপারকে পাঠিয়েছিলাম'। গোয়েন্দাদের পরের প্রশ্ন,  'তাহলে কীসের ভিত্তিতে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিলেন'? দেবাশিস ধর বলেন, 'ফোনে খবর নিচ্ছিলাম'। থানার আইসি, এসডিপিও, এমনকী, অতিরিক্তি পুলিস সুপারের কাছ থেকেও কোনও রিপোর্ট পাননি বলে জানিয়েছেন তিনি। 


আরও পড়ুন: Metro Services: সোমবার থেকে ১৫ মিনিট অন্তর স্পেশাল ট্রেন, রবিবার সম্পূর্ণ বন্ধ


সূত্র মারফত্‍ আরও জানা গিয়েছে, কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিস সুপার, গোয়েন্দাদের বলেছেন, সেদিন  রাজ্য পুলিসের সদর দপ্তর ও এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)-কে ফোন করেছিলেন। পাশাপাশি,  কমিশনের পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেও তাঁকে ফোন করছিলেন। কোনওরকম চাপ দেওয়া হচ্ছিল কি? জবাব এড়িয়ে যান দেবাশিস ধর।