নিজস্ব প্রতিবেদন:  সিআইডির নজরে ভারতী ঘোষের লকার। সাদার্ন অ্যাভিনিউ-এর ইউকো ব্যাঙ্কের শাখায় লকার রয়েছে ভারতী ঘোষের। মঙ্গলবার ভারতীর স্বামীকে নিয়েই ব্যাঙ্কে যান গোয়েন্দারা। ছিলেন ভারতীর আইনজীবী পিনাকী ভট্টাচার্য। তাঁদের উপস্থিতিতেই লকার খোলা হয়। ভারতী ঘোষের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ট্রাক্টরের পিছনে পুলিসের গাড়ির ধাক্কা, মৃত ১, গুরুতর জখম ৫


প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের ওপর ক্রমেই বাড়ছে সাঁড়াশি চাপ। সোমবার রাতেই দাসপুরে তোলাবাজির মামলায় সিআইডি ভারতী-ঘনিষ্ঠ সাব ইন্সপেক্টর প্রদীপ রথকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।  তিনিও একসময়ে ভারতী ঘোষের ঘনিষ্ঠ  বলে পুলিস মহলে বেশ পরিচিত ছিলেন।


সিআইডি মনে করছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের সোনা কেলেঙ্কারির অংক ১,৫০০ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। এই কেলেঙ্কারির সূত্র ধরেই ভারতীর নাম উঠে আসে। আর তদন্তে সিআইডির হাতে উঠে আসে ভারতীর হিসাব বহির্ভূত নানা সম্পত্তির কথা। তদন্তে উঠে আসে কলকাতার ইএম বাইপাস লাগোয়া আনন্দপুরের একটি ফ্ল্যাটের কথাও। ওই ফ্ল্যাটে ভারতী ঘোষের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠদের বৈঠক হত বলে গোয়েন্দাদের কাছে খবর। তল্লাশি ওই ফ্ল্যাট থেকেও প্রচুর সোনা ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে।


আরও পড়ুন: ঘর থেকে উদ্ধার সদ্য বিবাহিত দম্পতির ঝুলন্ত দেহ, অনার কিলিং? দানা বাঁধছে রহস্য


যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক অডিও বার্তায় ভারতী যা সাফাই দিয়েছেন, তাও চমকে দেওয়ার মতো।  ভারতী জানান, তিনি জমিদার বাড়ির মেয়ে। তাঁর বিয়েতে ৭৫ তোলা সোনা দেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে সরকারকে দেওয়া অ্যাসেসমেন্টে সেকথা জানানো রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও পড়ুন: জলভর্তি বালতিতে ডুবে মৃত্যু মেটিয়াবুরুজের দেড় বছরের শিশুর


ভারতীর অভিযোগ, ৩৭৫ গ্রাম সোনা উদ্ধারের জন্য তদন্তকারীরা প্রত্যেক অভিযুক্তের বাড়ির সোনা লুঠ করছেন। তার লকারের গয়নাও লুঠ করা হতে পারে বলে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ভারতী। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই  মঙ্গলবার তাঁর সাদার্ন অ্যাভিনিউ-এর ইউকো ব্যাঙ্কের লকার তল্লাশি চালায় সিআইডি।