নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৯৭১ সালের আগে জন্ম হলে পূর্বপুরুষদের নথির দরকার নেই। নাগরিকত্ব নিয়ে চলতি বিবাদে স্পষ্ট করেছে বিদেশমন্ত্রক। নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিটি সভায় বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন,''বিজেপির জন্মই তো ১৯৮০ সালে। ওরা নথি কীভাবে দেখাবে?'' তৃণমূল নেত্রীর এ হেন কটাক্ষের জবাবে 'ইতিহাস' তুলে ধরলেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। তাঁর খোঁচা, শুনতে খারাপ লাগলে, বিজেপির ঔরসেই তৃণমূলের জন্ম।                 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজপেয়ী-আডবাণীর এনডিএ জোটে বিজেপির শরিক হয়েছিলেন। সে কথাই শুক্রবার স্মরণ করালেন রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়,''কী অদ্ভূত! অবান্তর কথা বলছেন মমতা। বিজেপি ৮০- সালে জন্মেছে তা আপনার পার্টি কত সালে জন্মেছে? বিজেপি না থাকলে আপনার পার্টি জন্মগ্রহণই করত না। শুনতে খারাপ লাগলে বিজেপির ঔরসেই তৃণমূলের জন্ম।''


সিপিএম-কংগ্রেস লোকসভা ভোটের আগে থেকেই প্রচার করে আসছে, দুই ফুলই এক। রাজ্যে বিজেপিকে এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরনো সংবাদপত্রে শিরোনামও ঘোরা ফেরা করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই সেদিনও এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য কটাক্ষ করেছিলেন, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বিজেপির মাদুলি আগে পরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।     



বিরোধীদের সেই দাবিকেই উস্কে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক এদিন বলেন,''কংগ্রেস তো তাড়িয়ে দিয়েছিল ওনাকে। সিপিএম পিটিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। অটলবিহারী বাজপেয়ী ও  লালকৃষ্ণ আডবাণী না থাকলে মুখ্যমন্ত্রী হতেন না। কালীঘাটেই সৃষ্টি, কালীঘাটেই শেষ হতেন।''


অতিসম্প্রতি জট কাটাতে তিন দফা শর্ত দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।  


১. জন্ম তারিখ ও জন্মস্থানের  শংসাপত্র দিলেই নিজেদের নাগরিক প্রমাণ করা যাবে। এই ধরনের তালিকা প্রকাশ করা হবে যাতে কোনও সাধারণ মানুষের হেনস্থার শিকার না হন।


২. নিরক্ষর, যাঁদের হাতে শংসাপত্র সেভাবে নেই। স্থানীয়দের পরিচিতি, বয়ান ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তাঁদের নাগরিকত্ব মিলতে পারে। 


৩. কারওর পূর্বপূরুষ যদি ৭১ সালের আগে এসে থাকেন, তাঁদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার দরকার নেই। 


 


আরও পড়ুন- গন্ডগোল করার সুযোগ দিই, হিংসায় বিজেপি-যোগের কথা কার্যত স্বীকার দিলীপের