অঞ্জন রায়: নাগরিকত্ব সংশোধনী নিয়ে বিজেপির বিজ্ঞাপনে এবার ঋত্বিক ঘটকের 'কোমলগান্ধার' ছবি। ওই ছবির একাধিক দৃশ্য নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিজ্ঞাপন। জনমানসে ছবির গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে এহেন সিদ্ধান্ত। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের ধারণা, শুধু তথ্য দিলে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে না। বরং দেশভাগের মর্মান্তিক ছবি তুলে ধরা হলে তার অভিঘাত হবে সুদূরপ্রসারী।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার দেশের একাধিক জায়গায় বেঁধেছে লঙ্কাকাণ্ড। সমানতালে চলছে বিরোধীদের প্রচারও। সেই প্রচারকে ভোঁতা করতে জোরকদমে মাঠে নামতে চলেছে রাজ্য বিজেপি।বিভিন্ন সংবাদপত্রে ইতিমধ্যেই বাংলায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে ভারত সরকার। ওই বিজ্ঞাপনে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ঠিক সেভাবেই বাংলায় ওই ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে চলেছে রাজ্য বিজেপির। দলের তরফেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও টেলিভিশন চ্যানেলে শুরু হবে প্রচার। 



ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রী হতে তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের হিংসাচিত্রের পুস্তিকা। ২৩ ডিসেম্বর শহরে পদযাত্রা বা সভা করার কথা বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডার। পরের দিন তাঁর সভা উত্তরবঙ্গে। জানুয়ারি মাসে কলকাতায় মোদী বা শাহের জনসভা করার চেষ্টা করছে রাজ্য বিজেপি। ৩টি সম্ভাব্য তারিখ পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। 



বিজেপির দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে আম জনতা নেই। রয়েছে একটি বিশেষ সম্প্রদায়। এটাই হতে চলেছে বিজেপির প্রচার-কৌশল। জায়গায় জায়গায় প্রচার করা হবে, সংখ্যালঘু তোষণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সুর বেঁধে দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছেন, ''পোশাক দেখলেই বোঝা যাচ্ছে কারা হিংসা ছড়াচ্ছে।'' এর পাশাপাশি ২০০৫ সালে অনুপ্রবেশকারী তাড়ানোর দাবিতে সংসদে মমতার রণংদেহি অবতারের ভিডিয়োও প্রচার করা হচ্ছে। সেটি ভুয়ো বলে এদিন দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, CAA ও NRC নিয়ে রাজ্যে প্রবল মেরুকরণের ঝড় তোলাই বিজেপির লক্ষ্য। সেটা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে নেতৃত্ব। 


আরও পড়ুন- নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিজেপি শাসিত দুই রাজ্যে মৃত্যু ৩ বিক্ষোভকারীর