CAA নিয়ে মমতার আক্রমণ সামলাতে বাংলায় `বাড়ি বাড়ি` কড়া নাড়তে চলেছে বিজেপি
CAA নিয়ে কার্যত সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বিজেপি। দেশজুড়ে প্রতিরোধ-বিক্ষোভ। রাজ্যেও কোমর বেঁধেছে বিরোধীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: CAA কেন প্রয়োজন? বিরোধীদের প্রচারের হাতিয়ার ভোঁতা করতে এবার মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছনোর জন্য কর্মীদের নির্দেশ দিল রাজ্য বিজেপি। এর পাশাপাশি হাইকম্যান্ডের বার্তায় বাংলায় CAA নিয়ে পাল্টা প্রচারে রণকৌশল সাজিয়েছেন নেতারা। শুক্রবার দলের নেতাকর্মীদের ক্লাসে স্ট্র্যাটেজি বাতলে দিলেন দিলীপ ঘোষ।
CAA নিয়ে কার্যত সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বিজেপি। দেশজুড়ে প্রতিরোধ-বিক্ষোভ। রাজ্যেও কোমর বেঁধেছে বিরোধীরা। বিশেষ করে সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দিন থেকেই তিনি রাস্তায়। বাম-কংগ্রেসও নিজেদের মতো করে পথে। লোকসভা ভোটে ঐতিহাসিক ফলের পর খানিকটা বেগ পাচ্ছে পদ্ম শিবির। নিচুস্তরের কর্মীদের একইসঙ্গে চাঙ্গা করতে ও পাল্টা প্রতিরোধে রণকৌশল সাজাচ্ছে বিজেপিও। শুক্রবার কলকাতায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে দলের কর্মশালায় দিলীপ ঘোষ বলেন, ''অনলাইনে সিএএ-র ফর্ম ফিল আপ করতে হবে। বেশিদিন সময় পাবেন না। ফর্ম ফিল আপ সবাইকে করতে হবে। যারা করবেন না এদেশে ৫ বছর আছেন, তার প্রমাণ দিয়ে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে।'' বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ দাবি করেছেন, ফেব্রুয়ারি মাসেই শুরু হয়ে যাবে অনলাইনে ফর্মপূরণের কাজ।
কেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দরকার? কেন মোদী সরকার আইন আনল? সেই প্রশ্নগুলিরই উত্তর তুলে ধরা হবে জনমানসে। বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ ও পাল্টা প্রচার- জোড়া হাতিয়ার বিজেপির। প্রচারের জন্য বিলি করা হবে বিভিন্ন পুস্তিকা, লিফলেটও। পার্টির ক্লাসে সেসবই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নেতা-কর্মীদের।
লোকসভা ভোটে বাংলায় ভাল ফল করেছে বিজেপি। কিন্তু, রাজ্যবাসীর একাংশের মনে এখন দানা বেঁধেছে এনআরসি-র আতঙ্ক। অসমে নাগরিকপঞ্জি থেকে ১২ লক্ষ হিন্দুর নাম বাদ গিয়েছে। এনআরসি নিয়ে হিন্দুরাও যে আতঙ্কে তার প্রমাণ কয়েকদিন আগেই ৩ বিধানসভা আসনে বিজেপির হার। এ হেন পরিস্থিতিতে হিন্দু উদ্বাস্তুদের মন জয় করতে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে মোদী সরকার। কিন্তু, বিরোধীরাও একযোগে প্রচার শুরু করে দিয়েছে, ইতিমধ্যেই যাঁরা নাগরিক, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নাম করে পরীক্ষার মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির পাখির চোখ ২০২১। কিন্তু, CAA-NRC-NPR থেকে পিছু হঠা আর সম্ভব নয়। বরং এই অস্ত্রেই বাজিমাতের আশায় তারা। তাই মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা ছাড়া অন্য রাস্তা নেই। প্রচারে প্রায় ৩০ হাজার বিস্তারককে বাড়ি বাড়ি পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- NRC নয়, চাই NRB, CAA নয়, চাই BAA, দাবিতে আন্দোলনে নামছে বাম ছাত্র-যুবরা