নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্বপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় লাগাতার পদযাত্রা, সভা করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মাঝে কলকাতায় বিপুল লোককে CAA-এর সমর্থনে 'অভিনন্দন যাত্রা'য় নামিয়ে চমকে দিয়েছে বিজেপিও। তৃণমূল-বিজেপির পাশে বেশ নিষ্প্রভ লাগছে সিপিএমকে। একার পক্ষে যে কলকে পাওয়া সম্ভব নয়, তা বুঝেছে আলিমুদ্দিন। কংগ্রেসের সঙ্গে ২০টি বাম দলকেও এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে সামিল করল সিপিএম।             
    
বিষয় NRC। জমি ভাগাভাগি হয়েছে পক্ষে-বিপক্ষে। পক্ষের মত নিয়ে কোনও লড়াই নেই। ফাঁকা মাঠে গোল করছে বিজেপি। সেটা কলকাতায় তাদের রোড শো আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে। লড়াইটা বিপক্ষের ময়দানে। সেখানে বিরোধী মুখ হতে চাইছে কংগ্রেস, তৃণমূল থেকে সিপিএম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে প্রতিদিনই কর্মসূচি নিচ্ছেন, তাতে টেক্কা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে বাকিদের। এমতাবস্থায় রাজ্যের এনআরসি-সিএএ বিরোধী মানুষের কাছে বার্তা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রতিবাদের মুখ। আর সে কারণেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের এনআরসি বিরোধী পরিসরে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছে সিপিএম। বামপন্থী সংগঠন ও ছাত্র যুবরা পথে নেমেছে আগেই।  শুক্রবার পথে নামলেন বিমান বসু, সূর্য মিশ্ররাও। সঙ্গে পা মেলালেন সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্যরাও। রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ঘোষণা করলেন,রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে ২০টি দল মিলে বিরোধী মঞ্চ গঠন করে মোকাবিলা করা হবে।     



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইস্যু এক হলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুরত্বই থাকবে। আগেই বুঝিয়ে দিয়েছে বাম নেতৃত্ব। এদিন সেই একই সুর শোনা গেল সোমেন মিত্রর গলাতেও। NRC ইস্যুতে সর্বদল বৈঠকের আবেদন জানিয়েও সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সোমেন মিত্র বলেন, ''এনআরসি নিয়ে মমতার কাছে সর্বদল বৈঠকের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু প্রাপ্তিস্বীকার পর্যন্ত করেননি।''
 


মিছিল মুরলিধর সেন স্ট্রিটের বিজেপি রাজ্য দফতর পেরোনোর সময় কিছুটা উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও, শীর্ষ নেতৃত্বের আহ্বানে শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল এগিয়ে যায়।  


আরও পড়ুন- জানুয়ারি থেকে ATM-এ ১০ হাজারের বেশি তুলতে গেলে OTP লাগবে SBI গ্রাহকদের