সুতপা সেন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। সেটাই গড়িয়ে গেল লাগামছাড়া হিংসায়। জ্বলল বাস, ট্রেন ও স্টেশন। এহেন পরিস্থিতি কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নবান্নে সমস্ত জেলার পুলিস সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিসের ডিজি।  টেলিফোনেই রবিবারের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা ফেরানোর নির্দেশ দেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেলডাঙায় ভাঙচুর হয়েছে স্টেশন। লালগোলায় স্টেশনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। চারটি ট্রেনে জ্বলেছে কৃষ্ণপুরে। সাঁকরাইল স্টেশনেও চলেছে ভাঙচুর। হাওড়ার পুড়েছে একের পর এক বাস। এহেন পরিস্থিতিতে আইনের শাসন ফেরাতে নবান্নে টেলিফোনের মাধ্যমে সমস্ত জেলার পুলিস সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্র। পুলিস সুপারদের তাঁর নির্দেশ-                   


১. শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করলে অসুবিধা নেই। কারণ মুখ্যমন্ত্রী নিজে  আন্দোলনকারীদের ব্যাপারে সহানুভূতিশীল। 


২. আইন হাতে তুলে নিলে ব্যবস্থা নিতে হবে। গ্ৰেফতার করতে হবে। 


৩.সরকারি সম্পত্তি যারা ধ্বংস করবে তাদের বিরুদ্ধে নতুন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


৪.কালকের মধ্যে সব জায়গায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে।


রাজ্য পুলিশের ডিজি-র সঙ্গে এদিন কথা হয় রেল কর্তৃপক্ষেরও। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজ্যের সহায়তা ছাড়া হিংসাপ্রবণ জায়গায় ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস দেন ডিজি।



মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছেন,"গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করুন। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। পথ অবরোধ, রেল অবরোধ করবেন না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বরদাস্ত করা হবে না। যাঁরা গন্ডগোল করছেন, রাস্তায় নেমে আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাঁদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। বাসে আগুন লাগিয়ে, ট্রেনে পাথর ছুড়ে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"


আরও পড়ুন- আপনাদের জন্য ৭০% অমিত শাহের পক্ষে হয়ে গেলে রাস্তায় নামতে পারবেন না: ফিরহাদ