নিজস্ব প্রতিবেদন: এত ঠান্ডায় মরেও না তো কেউ? শাহিনবাগ ও পার্ক সার্কাসে বিক্ষোভ এনআরসি ও সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিঁধতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন দিলীপ ঘোষ। প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,''পার্ক সার্কাস বা শাহিনবাগে যাঁরা আছেন, এত ঠান্ডায় কী করে আছেন? মরেও না তো কেউ? অথচ নোট বাতিলের সময় ব্যাঙ্কের লাইনে কত লোক মরে গেল!''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন দিলীপ ঘোষের হাতে তুলে দেওয়া হয় তরবারি। যা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। যা প্রেস ক্লাবের মতো জায়গায় বাংলার সংস্কৃতির পরিপন্থী। তবে এসবে থোড়াই কেয়ার গেরুয়া শিবিরের! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিঁধেছেন দিলীপ ঘোষ। মেয়ো রোডে মমতার ছবি আঁকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,''অনেকদিন পর মুখ্যমন্ত্রী ছবি আঁকতে পারছেন।কখন মানুষ ছবি আঁকে,গান গায়? যখন মন খারাপ থাকে। জীবনে হতাশা আসে। মুখ্যমন্ত্রীর এখন সেই দশা। প্রশাসনের কেউ তাঁর কথা শোনেন না। উনি বুঝে গিয়েছেন, ২১ সালে হারবে।''   


গতকাল, সোমবার বিধানসভার অধিবেশন সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিনও মেয়ো রোডে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তৃণমূল নেত্রীকে বিঁধে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,''সিএএ আইনে পরিণত হওয়ার পর বিক্ষোভ করার অর্থ সংবিধানের বিরোধিতা। অনৈতিক আইন হলে ওনার যুক্তি দিয়ে লড়া উচিত।''       


কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এদিন বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। গোটা ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলেছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ''লোকসভায় ১৮টি আসন জেতার পরও বিজয়োত্সব করতে পারিনি। অথচ ৩টি নির্বাচন দিতে ঢাকঢোল বাজিয়ে উত্সব করেছে ওরা। শুধু রাজ্যপাল নন, ওখান থেকে নোবেলজয়ী অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের প্রতিবাদে বিরক্ত হয়ে ফিরে গিয়েছেন। এসব বন্ধ হওয়া দরকার। শিক্ষামন্ত্রীর যোগ্যতা নেই। ওনার পদত্যাগ করা উচিত।''             


আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: বধূর হাত-পা বেঁধে রাতভর মার স্বামী-শ্বাশুড়ির, সারা গায়ে কালশিটে দাগ