নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলের মতো পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভাতেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের প্রস্তাব পাস করানো হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছে এমন দাবিই করল বামপন্থী দলগুলির জোট। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ১৭টি বাম দলের তরফে কেরলের মতো পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও CAA বাতিলের প্রস্তাব পাস করানোর দাবি করা হচ্ছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ৩১ ডিসেম্বর কেরলের বিধানসভায় সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ওই প্রস্তাব পাস হয় সর্বসম্মতিতে। যদিও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, সংসদে পাস হওয়া আইন বাতিল করতে পারে না রাজ্য সরকার। এদিন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, 'কেরলে বাম-গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকারের পক্ষ থেকে সে রাজ্যে সিএএ প্রয়োগ করা হবে না বলে আগেই জানানো হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর কেরল বিধানসভায় আইনটি বাতিলের জন্য সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস হয়েছে। ১৭ দলের পক্ষ থেকে কেরলের জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও এই ধরণের প্রস্তাব পেশ করার দাবি করছি'।
 


নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর লাগাতার কর্মসূচির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না কংগ্রেস ও বামেরা। এহেন প্রেক্ষাপটে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের প্রস্তাব বিধানসভায় পেশ করার দাবি তুলে বল মমতার কোর্টে ঠেলল আলিমুদ্দিন। মমতা দাবি মানলেও রাজনৈতিক লাভ না মানলেও! কী রকম? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় CAA বাতিলের প্রস্তাব বিধানসভায় পাস করালেন। তখন বামেদের বক্তব্য হতে পারে, তারাই দাবি করেছিলেন। আর বামশাসিত কেরলই আগে করে দেখিয়েছে। আবার প্রস্তাব না পেশ করলেও রাজনৈতিক প্রচারের সুযোগ থাকছে। বাম-কংগ্রেস দাবি করতে পারে, আসলে মমতার সিএএ বিরোধিতা গটআপ। গোটাটাই ভনিতা। সত্ উদ্দেশ্য নেই বলেই বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করছেন না।  


আরও পড়ুন- পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে বিরোধীরা: মোদী