নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি থাকতে কোনওভাবেই বাংলায় এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হতে দেবেন না বলে হুঙ্কার দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। ঠিক তখনই মমতার বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ এনে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। ওই ভিডিয়োটি ভুয়ো বলে বুধবার দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রী। 
          
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিয়ো। তাতে দেখা যাচ্ছে, বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে লোকসভায় সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সালটা ২০০৫। সংসদে মমতা বলছেন,''আমি সংসদের কার্যপ্রক্রিয়া ভঙ্গ করতে চাই না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ ভয়ঙ্কর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের ভোটার তালিকা আমার সঙ্গে রয়েছে। এটা গুরুতর বিষয়। কখন এটা নিয়ে আলোচনা হবে?''   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ওই ভিডিয়োটি টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিকবার ২০০৫ সালের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ''২০০৫ সালে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকারকে এক তাড়া কাগজ ছুড়েছিলেন। তত্কালীন বাম সরকার অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার তালিকায় ঢোকাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। এনিয়ে আলোচনা চেয়েছিলেন সংসদে।''           



বুধবার বিজেপির ওই ভিডিয়োটি ভুয়ো বলে দাবি করলেন মমতা। তাঁর কথায়,''আমার নামে একটা ভুয়ো ভিডিয়ো এ টু জেড চালাচ্ছে। আমি তখন কী করেছিলাম? সিপিএম তখন ভোট করাতে দিত না। এক একজনের ৫০টা তালিকায় নাম ছিল। 'নো আইডি কার্ড নো ভোট' বলতে গিয়েছিলাম সংসদে। ১৯২১ সালে আমার ১৩ জন কর্মী মারা গিয়েছিল গুলিতে। তারপর থেকে লড়তে লড়তে এসে ওটা আমরা করেছিলাম।'' 



স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে নিশানা করে মমতা বলেন,''মিথ্যা বলছেন ওনারা। খারাপ লাগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সেটা করছেন। সংবিধানে থাকা লোকও রিটুইট করছে। ছেলেমেয়েরা প্রতিরোধ করুন। ৯০ শতাংশ ফেক ভিডিয়ো। ফেক টাকায় ফেক ভিডিয়ো।'' রাজ্যপাল জবাব দিয়েছেন,''আমি কী করব, সেটা কাউকে বলে দিতে হবে না।''       


আরও পড়ুন- ১৯২১ সালে আমার ১৩ জন কর্মী মারা গিয়েছিল গুলিতে: মমতা