নিজস্ব প্রতিবেদন: পোশাক দেখে বোঝা যাচ্ছে কারা হিংসা ছড়াচ্ছে। নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যে বুধবার পাল্টা বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তৃণমূল নেত্রীর কথায়,''পোশাক দেখে বুঝি চেনা যায়! পোশাক দেখে চেনা গেলে তো ঘণ্টা দেখেও চেনা যাবে।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন রানি রাসমণির সভায় বাউলদের সঙ্গে গাইতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। কাঁসরও বাজান। এরপর ভাষণের মাঝে নেত্রী বলেন, ''আমি ঘণ্টা বাজালাম। চেনো আমি কে? আমার পরিচয় তো জানতে চাইছ। আমি মাঙ্গলিক ঘণ্টা বাজাচ্ছি। ঢং, ঢং কত মানে হয় বুঝে নাও!'' এরপর মমতা আরও বলেন,''কেউ বলবে মাঙ্গলিক ঘণ্টা, কেউ বলবে বিদায়ঘণ্টা, কেউ বলবে মৃত্যুঘণ্টা, কেউ বলবে বিসর্জনের ঘণ্টা। আমি তো ঘণ্টা বাজিয়ে দিলাম। কোনওদিন শাঁখ বাজাব। কোনওদিন বাউল গান হবে।''



দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ডের সভায় মেরুকরণ উস্কে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,''পোশাক দেখেই বোঝা যাচ্ছে কারা হিংসা ছড়াচ্ছে। আমিও টিভিতে বিক্ষোভের দৃশ্য দেখেছি। তাতে ভারতবাসী নিশ্চিত হয়েছেন মোদী ও সংসদ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এনে সঠিক কাজ করেছে।'' স্বাভাবিকভাবে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্যকে সমর্থন দিয়েছেন অমিত শাহ। তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রী কী খারাপটা বলেছেন? উনি নিজের পক্ষ রেখেছেন। তার সমালোচনা বা প্রশংসা হতেই পারে। 


এদিন রাষ্ট্রসঙ্ঘের নজরদারিতে CAA ইস্যুতে গণভোটের দাবিও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন,''সারা ভারতবর্ষে একটা গণভোট হোক হয়ে যাক। আপনি করবেন না। রাষ্ট্রসঙ্ঘ করবে। মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা থাক। তাদের নিয়ে কমিটি হোক। তৃণমূলের থাকার দরকার নেই। বিজেপির থাকার দরকার নেই। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খৃষ্ট্রানের দরকার নেই।'' বিজেপি নেতা মুকুল রায় পাল্টা পশ্চিমবঙ্গে গণভোটের দাবি তুলেছেন। তিনি বলেছেন,''আমি বলছি, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নজরদারিতে পশ্চিমবঙ্গে একটা গণভোট হোক। কত লোক ওনাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান?একটা লোকও ওনাকে চাইবে না।'' 


নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় লাগাতার কর্মসূচি নিয়ে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোম থেকে বুধবার- পরপর ৩দিন পদযাত্রা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। বৃহস্পতিবার রানি রাসমনি রোডে ছাত্র-যুবদের সভায় বক্তব্য রাখলেন। আগামিকাল, শুক্রবার পার্ক সার্কাসে রয়েছে তাঁর সভা। এর পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে গোটা দেশকে পথে নামার আহ্বানও করেছেন মমতা। বলেন,''অনেক সময় রাস্তায় নামতে হয়। রাজনৈতিক দলের নাম ভুলে যান। ভুলে যান সম্প্রদায়ের নাম কী? সবাই নামুন। বিহারে নামুন, দিল্লিতে নামুন, উত্তরপ্রদেশে নামুন, উত্তর-পূর্বে নামুন। বসে থাকবেন না।''  


আরও পড়ুন- ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলার পথে রেল