নিজস্ব প্রতিবেদন: আসল বামপন্থী হলে ৮ জানুয়ারি ধর্মঘট সফল করুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। সিপিএমের মুখপত্র 'গণশক্তি'র প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন,''এই রাজ‍্যসরকার  দাবি করেন ওরা নাকি বামপন্থী। ওরা যদি বামপন্থী হয় তাহলে আমি আর বামপন্থী থাকব না। একটার পর মেগা সিরিয়াল যখন হচ্ছে, আমরা শুনতে পাচ্ছি আবার পাকিস্তান, পাকিস্তান।'' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেরলের মতো পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভাতেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের প্রস্তাব পাস করানোর জন্য মমতাকে চিঠি দিয়েছেন পিনারাই বিজয়ন। সেই সুরেই  সূর্যকান্ত মিশ্র এদিন বলেন, ''মুখ‍্যমন্ত্রীর পুরো কথাটা খুলে বলুন। সদিচ্ছা থাকলে বিধানসভায় জরুরি সভা ডেকে সব বাতিলের প্রস্তাব দিন। আপনার সবচেয়ে বড় পরীক্ষা 8 তারিখ। সেদিন আপনার ভূমিকা কী হয়, আমরা দেখব। ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা হলে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা জানতে পারব। মুখ‍্যমন্ত্রী ওই দিন প্রমাণ হবে আপনি কোন পক্ষে!'' এদিন বিমান বসু আক্ষেপ করেন, বাম শরিক দলের কর্মীরা গণশক্তি পড়েন না।  


এদিন ১১টি অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন পিনারাই বিজয়ন। চিঠি তিনি লিখেছেন,''গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করাই সময়ের দাবি। পারস্পরিক মতানৈক্য সরিয়ে সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষকে এক হতে হবে গণতন্ত্র বাঁচাতে। আমরা নিশ্চিত, দেশের বৈচিত্র্যর মধ্যে ঐক্য আরও শক্তিশালী হবে। এনআরসি-এর আশঙ্কায় এনপিআর সংক্রান্ত সমস্ত কাজ রাজ্যে স্থগিত করে দিয়েছে কেরল সরকার।''৩১ ডিসেম্বর কেরলের বিধানসভায় সর্বসম্মতিভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাব পাস হয়েছে। সে কথা উল্লেখ করে পশ্চিমবঙ্গকে একই পদক্ষেপ করার আহ্বান করেছেন পিনারাই বিজয়ন। 



বৃহস্পতিবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বিবৃতি জারি করে জানান, 'কেরলে বাম-গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকারের পক্ষ থেকে সে রাজ্যে CAA প্রয়োগ করা হবে না বলে আগেই জানানো হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর কেরল বিধানসভায় আইনটি বাতিলের জন্য সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস হয়েছে। ১৭ দলের পক্ষ থেকে কেরলের জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও এই ধরণের প্রস্তাব পেশ করার দাবি করছি'।


আরও পড়ুন- NRC নয়, চাই NRB, CAA নয়, চাই BAA, দাবিতে আন্দোলনে নামছে বাম ছাত্র-যুবরা