নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় উত্তপ্ত রাজ্যের একাধিক জায়গা। দিঘা থেকে ফিরে তড়িঘড়ি প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের পাশে আছি। কেউ আইন-শৃঙ্খলা নিজের হাতে তুলে নেবেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভে উত্তাল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। শুক্রবার দিঘা থেকে ফিরেই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জানান, উলুবেড়িয়া ও বেলডাঙায় দুটো ঘটনা ঘটেছে। রেল সাহায্য চেয়েছিল। পুলিস পাঠানো হয়েছে। 

মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের পাশে আছি। কিন্তু কেউ আইন-শৃঙ্খলা নিজের হাতে তুলে নেবেন না। শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখুন। বিক্ষোভের নামে বিশৃঙ্খলা যে কাম্য নয়, বুঝিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বলেন, ''যারা এই ধরনের  রাস্তা আটকাচ্ছে, তারা বিজেপির হাত শক্ত করছে। বাংলা সেকুলার জায়গা। এখানে মস্তানি করা ঠিক হয়নি। দম থাকে তো অমিত শাহ বাড়ির সামনে গিয়ে  করুন।'' 


শান্তির বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বলেন,''আমি সবাইকে হাতজোড় করে আবেদন করছি,শান্তি ভঙ্গ করবেন না। হিংসা থেকে দূরে থাকি। সংবিধানে ভরসা রাখা উচিত। সংসদের আইনে ভরসা রাখুন। এখানকার মানুষ শান্তিপ্রিয়। আইন মেনে চলুন। সকলকে করজোড়ে আবেদন করছি।''



শুক্রবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গা। সকাল থেকে অশান্তি শুরু হয় মুর্শিদাবাদে। জাতীয় সড়ক ও রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ হয় বেলডাঙায়। বিপর্যস্ত হয় শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায় ট্রেন পরিষেবা। উলুবেড়িয়াতে আবার করমণ্ডল এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়়ে বিক্ষোভকারীরা। কলকাতার পার্ক সার্কাসে রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে দেখানো হয় বিক্ষোভ। তার জেরে দীর্ঘক্ষণ যানজটে সৃষ্টি হয়। 


আরও পড়ুন- নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে পরপর ৩ দিন রাস্তায় হাঁটবেন মমতা