কমলিকা সেনগুপ্ত: রাজ্যসভায় পাস হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বিল পাশের নেপথ্যে পশ্চিমবঙ্গের অনেকটাই যে যোগ রয়েছে, তা সংসদে স্পষ্ট গিয়েছে অমিতের শাহের ভাষণে। যেভাবে একাধিকবার বাংলা উঠে এসেছে, তাঁর কথায় তাতে এটা অন্তত বলাই যায়, এবার নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী নিয়ে জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়তে চলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের প্রচারের কীভাবে মোকাবিলা করতে পার্টি লাইন ঠিক করে দেবেন খোদ দলনেত্রী। সেজন্য আগামী ২০ ডিসেম্বর বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রয়েছে পুরভোট। এনআরসি নিয়ে এতদিন সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার মোকাবিলায় এবার বিজেপির বড় হাতিয়ার  citizenship amendment bill 2019। রাজ্যসভা ও লোকসভা- সংসদের উভয়কক্ষেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মাঠে-ময়দানে বিজেপি প্রচার শুরু করে দিয়েছে, বাঙালি উদ্বাস্তু বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সেই সুর বেঁধে দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়,''পশ্চিমবঙ্গে উদ্বাস্তু বাঙালিদের বিরোধিতা করছে তৃণমূল। সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল বাঙালি বিরোধী। এদের আসল রূপ চিনে নিন। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।'' 


বিজেপির আগ্রাসী প্রচারের মোকাবিলায় কী হতে চলেছে তৃণমূলের রণনীতি? তা স্পষ্ট করতে ২০ ডিসেম্বর দলের বিধায়কদের সঙ্গে  বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএবি ও এনআরসি নিয়ে পার্টি লাইন বলে দেওয়া হবে বৈঠকে। পুরসভা ও বিধানসভার নির্বাচন মাথায় রেখে NRC ও CAB-র বিরোধিতায় নেমে পড়তে হবে রাস্তায়। 



নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে উওপ্ত উওর-পূর্ব ভারত। বিশেষ করে অসম ও  ত্রিপুরার একাংশে শুরু হয়েছে তুমুল বিক্ষোভ। পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি বিরোধী  আন্দোলনকে আরও তরাণ্বিত করার প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হতে পারে বৈঠকে। ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি। ওই কর্মসূচির অভিঘাত নিয়েও পর্যালোচনা হবে বৈঠকে। 


আরও পড়ুুন- বিজেপি জিতল, ভারত হারল, দাবি অভিষেকের; বাংলায় CAB হবে না, বললেন ডেরেক