মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: এথিক্স কমিটি অনুমোদনের পরেও আটকে ট্রায়াল? বিনামূল্যে ওষুধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ক্যানসার রোগীরা! কেন? ফোনে অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এমনকী, জবাব দেননি মেসেজেরও! ফের কাঠগড়ায় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, হাজার নয়, সংখ্যাটা কয়েক লক্ষ। চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে যাঁরা আসেন, উপকৃত হতেন সেইসব গবীর, দুঃস্থ ক্যানসার রোগীরাই। কীভাবে? ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহার ব্য়বহার করা যেতে পারে, এমন দুটি ওষুধ বা ড্রাগের ক্নিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে আরজি করের এথিক্স কমিটি। একটি সম্পূর্ণ নতুন ড্রাগ, আর একটি অবশ্য বাজারে পাওয়া যায়। স্তন ক্য়ানসারের চিকিৎসায় সেই ড্রাগটি ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, দাম প্রায় লক্ষাধিক টাকা! ট্রায়াল শুরু হলে দুটি ড্রাগই বিনামূল্য়ে পেতেন রোগীরা।


এথিক্স কমিটির চিঠি জি ২৪ ঘণ্টার হাতে এসেছে। চিঠিতে উল্লেখ, ২০২১ সালে একটি ড্রাগ, আর ২০২২-র অগস্টে অপর ড্রাগটিরও ক্নিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তাহলে? নিয়ম অনুয়ায়ী, এথিক্স কমিটির অনুমোদনের পর ক্নিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রধান গবেষক, ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়। কিন্তু আরজি করের অধ্যক্ষ  সঞ্জীব ঘোষ এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন দেননি বলে অভিযোগ। ফলে ট্রায়ালও শুরু করা যায়নি।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: জুনিয়র ডাক্তারদের জেলায় ক্যাম্প করার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর


আরজিকরের এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান কৃষ্ণাংশু রায় জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, 'অফিশিয়ালি কোনও খবর পাইনি যে এটা হচ্ছে না বা হয়নি।  তবে একটা কথা, যখন মিটিংয়ে অনুমোদন দেওয়া হল, তখন এটা করবার জন্যই তো অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এটা ক্যানসারের ওষুধ। ফলে সেটা বাস্তবায়িত হওয়াটাই বাঞ্চনীয় এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব'। 



এর আগে, এই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজেই  যে দেহ রাখা ছিল মর্গে, সেই দেহ ওয়ার্কশপে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। বস্তুত, বিচার চেয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল? তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন  স্বাস্থ্যসচিব। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)