Mamata Banerjee, TMCP: `এক হাজার কবিতার একটা বই লিখুন...নিজে নিজে ১২৫টা বই লিখুন`
Mamata Banerjee, TMCP: সোমবার মেয়ো রোডের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, `আমি বই বিক্রি করলে বলবে, কেন এত বই বিক্রি হয়? লোকে বইগুলো পড়ে অনেক তথ্য পায় ও প্রয়োজনীয় বলে মনে করে, এজন্য হয়...যাও গিয়ে দেখ বই মেলায় বেস্ট সেলার কার বই! যাও গিয়ে দেখ। আমি তো বইমেলায় একদিন যাই, উদ্বোধনের দিন। আমি তো নিজে বসে বিক্রিও করি না। ওই থেকেই আমার চলে।`
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাঁর কবিতা লেখা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। নিরন্তর সাহিত্য সাধনার জন্য চলতি বছর তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি (West Bengal Bangla Academy) পুরস্কার দেওয়ারও কটাক্ষ করেছেন অনেকে। সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে এই সমস্ত সমালোচনার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। যারা তাঁর কবিতা, বই এবং পুরস্কার পাওয়া নিয়ে মসকার করেন, তাদের দিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী।
সোমবার মেয়ো রোডের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি বই বিক্রি করলে বলবে, কেন এত বই বিক্রি হয়? লোকে বইগুলো পড়ে অনেক তথ্য পায় ও প্রয়োজনীয় বলে মনে করে, এজন্য হয়...যাও গিয়ে দেখ বই মেলায় বেস্ট সেলার কার বই! যাও গিয়ে দেখ। আমি তো বইমেলায় একদিন যাই, উদ্বোধনের দিন। আমি তো নিজে বসে বিক্রিও করি না। ওই থেকেই আমার চলে। আমি দেখি বিজেপি কাউকে কাউকে দিয়ে ভ্যাঙালো...ব্রাত্য কেন আমাকে পুরস্কার দিল। আরে আমি তো জীবনে কত পুরস্কার ছেড়ে দিয়েছি। পুরস্কারের প্রতি কোনও স্পৃহা নেই। এক হাজার কবিতার একটা বই লিখুন না বসে বসে। একটু বসে লিখুন। এত কাজের মধ্যেও নিজে নিজে ১২৫টা বই লিখুন...আমি পলিটিক্সে এসেছিলাম সমাজসেবা করব বলে।"
এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, "আমাদের আমলে কত ছেলে-মেয়ে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছে। আর সিপিএম, কত ছেলে-মেয়ে তোমাদের আমলে চাকরি পেয়েছে? লিস্ট কোথায়? পয়সা নিয়েছ আর চাকরি দিয়েছ। ওই গদ্দার অধিকারীরাই আমাকে রোজ বলত। তাই সিস্টেমটা ওরাই ভালো জানে। আজকে তৃণমূলকে বলছে চোর। আমি যদি আজ রাজনীতি না করতাম। আর এই চেয়ারে না থাকতাম। তাহলে বোনেদের বলতাম যাঁরা মিথ্যে রটাচ্ছে, তাঁদের জিভ টেনে খুলে দিতে। একটা দলের নামে বদনাম করা হচ্ছে। এখনও বিচার হয়নি। প্রমাণ হয়নি।"
একই সঙ্গে পরিসংখ্যান তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তৃণমূল সরকারের এগারো বছরের শাসনে এ রাজ্যে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ, ৫১ নতুন কলেজ, ১৭৬ পলিটেকনিক কলেজ, ৭ হাজার নতুন স্কুল হয়েছে। ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৯৭০ জনকে চাকরি দিয়েছে সরকার। এখনও খালি রয়েছে ৮৯ হাজার ৩৫টি পদ। বাংলায় ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান বেড়েছে।