নিজস্ব প্রতিবেদন:  কৃষক সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন, ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলা দখলে নরেন্দ্র মোদী যে ‘কৃষক’ রাজনীতি শুরু করেছেন, তা স্পষ্ট বুঝতে পারছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই মোদীকে পাল্টা দিতে  বিধানসভা কক্ষকে বেছে নিলেন তিনি। কৃষক ইস্যু উঠতেই নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  মমতার অভিযোগ, ৫০ শতাংশ সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ মোদী বলছেন ৫০ শতাংশ সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছেন। তিনি মিথ্যা বলছেন। মাত্র ২০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ’’


 ১৬ জুলাই মেদিনীপুরের কৃষক সমাবেশে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের জন্য স্বপ্নের ফানুস উড়িয়েছেন। বাংলার তাঁর আগমনের আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, জুন মাসে পাইকারি মূল্য বৃদ্ধির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক সাত শতাংশ। গত পাঁচ বছরে এটাই সর্বাধিক।


আরও পড়ুন: মমতার রাজ্যে ‘সিন্ডিকেটেই গায়েব হচ্ছে কেন্দ্রের টাকা’, অভিযোগ মোদীর


সেদিন মেদিনীপুরের সভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ধান, ডাল থেকে খরিফ শস্য - বিজেপি সরকারই একমাত্র ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেড়গুণ করা হয়েছে। পাটের দাম বাড়ানোয় এরাজ্যেুর পাটচাষীরা লাভের মুখ দেখেছেন বলে দাবি তাঁর।


মোদীর প্রতিশ্রুতি, ২০২২ সালের মধ্যেে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার সংকল্প নিয়েছে সরকার। ২২ হাজার গ্রামীণ হাটের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রীর সেই মন্তব্যকে এদিন বিধানসভা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ‘মোদী বলেছেন ২০২২ সালের মধ্যে কৃষক আয় দ্বিগুণ করবেন। বাংলায় কৃষকের আয় ৩.২ শতাংশ বেড়েছে।ওঁরা কী করবে, আমরা আগেই করে দিয়েছি।’


মহারাষ্ট্রের কৃষক আত্মহত্যার প্রসঙ্গ টেনেও তোপ দাগেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘দেশে ১২ হাজার কিন্তু বাংলায় একজন কৃষকও আত্মহত্যা করেননি।’’  তিনি বলেন, ‘‘আমরা বলছি মিনিমান ২ লক্ষ টাকা কিষাণ ক্রেডিট কার্ড করে দিতে। ২০-৪০ হাজার টাকা কিছু হয় নাকি!’’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  ‘‘এর থেকেই বোঝা যায় দেশে কৃষকদের অবস্থাটা কিরকম?’’
এদিন বিধানসভায় মমতা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সহায়ক মূল্য নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।’’


প্রসঙ্গত, মোদী-ব্রিগেডের যে এখন পাখির চোখ বাংলা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেক্ষেত্রে মোদী যে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে কেবল ধর্মীয় মেরুকরণেই বিশ্বাস রাখছেন না, তাও রাজনীতিবিদদের কাছে স্পষ্ট। জনমত গড়াই বাংলা দখলে মোদীর এখন প্রধান হাতিয়ার। আর এদিন মোদীর ‘দুর্বলতার  জায়গা’ অর্থাত্ কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে মমতা যে খোঁচা দিলেন, তার রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেটাই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।