নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত সদস্যদের ভাতাবৃদ্ধি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাপরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রামসভার প্রত্যেক সদস্যের ভাতা বৃদ্ধি করা হল। এদিন জেলা পরিষদের ৮০০ জন সদস্যকে নিয়ে  নবান্নে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনটি স্তরের প্রত্যেক সদস্যই যাতে ভালোভাবে কাজ করে, তার পাঠ পড়াতেই এদিনের বৈঠক। এই বৈঠকেই ভাতা বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



জেলা পরিষদ


  সভাধিপতিরা ৬০০০ টাকা করে ভাতা পেতেন। এখন ৩ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৯০০০ টাকা করা হল।


সহকারি সভাধিপতি পেতেন ৫০০০ টাকা ভাতা। বাড়িয়ে তা করা হল  ৮০০০ টাকা।


কর্মাধ‍্যক্ষরা পেতেন ৪০০০ টাকা ভাতা, সেটা ৭০০০ করা হল। সাধারণ সদস‍্যরা ১৫০০ পেতেন, তা বাড়িয়ে  ৫০০০ করা হল।


পঞ্চায়েত সমিতি


সভাপতি ৩৫০০ টাকা করে ভাতা পেতেন। তা বাড়িয়ে ৬০০০ টাকা  করা হল।


সহ সভাপতি ৩০০০ টাকা পেতেন, তা বাড়িয়ে ৫৫০০ টাকা করা হয়েছে।


কর্মাধ‍্যক্ষ  ২৫০০ টাকা পেতেন, তা ৫০০০ করা হয়েছে। সাধারণ সদস‍্যদের ভাতা ১৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫০০ টাকা করা হয়েছে।


বনগাঁ মামলায় বাদানুবাদের পর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট রাজ্যের আইনজীবীদের


গ্রামসভা


প্রধানদের ভাতা ৩০০০ টাকা বাড়িয়ে ৫০০০ টাকা করা হয়েছে।


উপপ্রধানদের ভাতা ২০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০০ টাকা করা হয়েছে।


উপসমিতির সঞ্চালকদের  ভাতা ১৮০০ টাকা বাড়িয়ে ৩৮০০ টাকা করা হয়েছে।


সাধারণ সদস‍্যদের ভাতা ১৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা করা হয়েছে।


এরজন‍্য প্রায় অতিরিক্ত ২২০-২২৫ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে।


দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ১৮ জনের মধ‍্যে ১১ জন এসেছিলেন।  উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান অনুযায়ী.   রাজ‍্যে প্রায় ৪৮ হাজার ৬৪৯ জন গ্রামসভার সদস‍্য আছে। ৯ হাজার ২১৭ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস‍্য রয়েছেন। ৮২৫ জন জেলা পরিষদের সদস‍্য রয়েছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পঞ্চায়েত সদস্যদের অনেক দায়িত্ব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়। সেই তুলনায় তাঁদের ভাতা খুবই কম। কার্যত বিনা পয়সাতেই তাঁরা কাজ করেন বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের কাজে আরও বেশি করে উদ্বুদ্ধ করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।