সুতপা সেন ও শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: বউবাজারে বিপর্যয় নিয়ে নবান্নে বৈঠক। পরবর্তী পর্যায়ে যখন মেট্রোর কাজ হবে, তখন সংশ্লিষ্ট খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব. স্বরাষ্ট্রসচিব, কলকাতার মেয়র ও পুলিস কমিশনার। সঙ্গে মেট্রোর আধিকারিকরাও। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্যবধান মাত্র পাঁচ মাসের। বউবাজারে মেট্রোর কাজে জন্য ফের রাতের ঘুম উড়ল স্থানীয় বাসিন্দাদের। জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি ছেড়ে আবার বেরিয়ে আসতে হল রাস্তায়! প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শুক্রবার ভোরের দিকে ফাটল দেখা যায় বউবাজারের মদন দত্ত লেনের একাধিক বাড়িতে। শুধু তাই নয়, বেলা গড়াতে নতুন করে ফাটল ধরে  ১৮৫ এবং ১৮৫/১ বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের দুটি বাড়িতেও।  এর আগে, ২০১৯ সালে বউবাজারে দুর্গাপিতুরি লেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কমপক্ষে ৪০ বাড়ি।  একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে চলতি বছরের মে মাসে। স্রেফ মেট্রো প্রকল্পের পাশে একাধিক বাড়ি নয়, সেবার দুর্গাপিতুরি লেনে রাস্তায়ও ফাটল ধরেছিল। 


এদিন নবান্নে  মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতার মেয়র মেয়র ও রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন বারবার এমন বিপর্যয়? এখনও পর্যন্ত কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? বৈঠকে মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আস্থা ফেরাতে মেয়র, মুখ্যসচিব, পুলিস কমিশনার-সহ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে সকলে মিলে যান বউবাজারে।



মেট্রো বিপর্যয়ের পর এখন কার্যত শুনশান এলাকা। শহরের পাঁচটি হোটেলে  একশো ছত্রিশজন বাসিন্দার থাকার ব্যবস্থা করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে অনেকেই এখনও হোটেল জায়গা পাননি বলে অভিযোগ। এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মেয়র ফিরদাহ হাকিম জানান, 'মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বারবার স্থানীয় বাসিন্দাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। এলাকায় অস্থায়ী ক্য়াম্প তৈরির করার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর যখনই কাজ হবে, কলকাতা পুলিস ও পুরসভাকে জানাতেই হবে। আমরা আগেই স্থানীয় বাসিন্দাদের হোটেলে সরিয়ে নিয়ে যাব'।


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: চিকিৎসার জন্যই বাইরে, অভিষেকের রক্তাক্ত চোখের ছবি প্রকাশ্যে!


এদিকে বউবাজারে আপাতত মেট্রো সুড়ঙ্গে জল বেরোনো বন্ধ করা গিয়েছে। মেট্রো সূত্রে খবর, এদিন বেলা সাড়ে ১২টার পর আর জল বেরোয়নি সুড়ঙ্গে। এরপর প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পরিস্থিতি উপর নজর রাখেন বিশেষজ্ঞরা। ঘড়িতে তখন প্রায় তিনটে। শুক্রবার ভোর রাতে শিয়ালদহের দিকে ক্রস প্যাসেজ তৈরির কাজ চলাকালীন মেট্রোর সুড়ঙ্গে জল আচমকাই জল বেরোতে শুরু করে। তারজেরে ঘটে বিপত্তি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)