নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় উপকূলবর্তী এলাকায় যখন তাণ্ডব চালাচ্ছে ইয়াস, তখন কলকাতায় টর্নেডোর আশঙ্কা! সকাল ১০ থেকে ১২ পর্যন্ত শহরবাসীদের বাড়ি না বেরোনোর অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নির্ধারিত সময়েই আগে ওড়িশার আছড়ে পড়েছে ঘুর্ণিঝড় ইয়াস। তার প্রভাবে বিপর্যস্ত বাংলার উপকূলবর্তী এলাকবর্তী এলাকা। দিঘার সমুদ্র প্রবল জলোচ্ছ্বাস, ফুঁসছে সুন্দরবনের একাধিক নদী। গোসাবার পাখিরালয়ে বাঁধ ভেঙে ইতিমধ্যেই জল ঢুকতে শুরু করে গ্রামে। পরিস্থিতি ভয়াবহ কুলতলিতেও।


আরও পড়ুন: Yaas Update: বাঁধ ভাঙল গোসাবায়, হু হু করে জল ঢুকছে গ্রামে


গতকাল রাতভর নবান্নে কন্ট্রোলরুমে বসে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইয়াস আছড়ে পড়ার সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে করেন তিনি। বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ভরা কোটালের ফলে রাজ্যে আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫টা এলাকায় জলের তোড়ে  গ্রামে জল ঢুকেছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি বাঁধ ভেঙেছে। ১৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে।


আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ভরা কোটালে প্রবল ক্ষতি, পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১ বাঁধে ভাঙন:মমতা


আর কলকাতায়? মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা,  সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কলকাতা ও শহরতলির এলাকায় স্থানীয়ভাবে ঠর্নেডো হতে পারে! সেকারণে শহরবাসী ওই সময়ে বাড়ির বাইরে না বেরনোর অনুরোধ করেছেন তিনি। বস্তুত, ইয়াস আসার আগেই গতকাল বিকেলে হালিশহর ও চুঁচুড়ার খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও টর্নেডোর দেখা গিয়েছিল। হালিশহরে ৪০টি ও চুঁচুড়া  ৪৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।