ওয়েব ডেস্ক : অ্যাডভোকেট জেনারেল পদত্যাগের ইস্যু উঠল বিধানসভাতেও। স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই পদত্যাগ করেছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র। বিধানসভায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এর পরেও প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তাঁর  প্রশ্ন, দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের সময় কেন তাঁকে পুর্ননিয়োগ করা হয়েছিল ?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জয়ন্ত মিত্র। মঙ্গলবারই রাজভবনে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন তিনি। সরকারের সঙ্গে নানা বিষয়ে মতবিরোধের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। এরপরেই এবিষয়ে  জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। বুধবার বিধানসভায়  অ্যাডভোকেট জেনারেল পদত্যাগ নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী।


"নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই ১৯ মে চিঠি দিয়ে পদত্যাগ করতে চান জয়ন্ত মিত্র। সে সময় তাঁর কাছে সময় চেয়ে নেয় সরকার। তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে অনুরোধ করা হয়। কারও প্রতি আমার কোনও অশ্রদ্ধা নেই।  রাজনৈতিক দলের কাউকে AG  করা হয়নি। আগের দুই AG অনিন্দ্য মিত্র, বিমল চট্টোপাধ্যায় অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ করেন। স্বাভাবিক নিয়মেই পদত্যাগ করেছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র।"


এদিন পদত্যাগ নিয়ে  ফের একদফা প্রতিক্রিয়া জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র। তিনি  জানান,  আগের সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই গতবছর পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছিলেন তিনি। প্রথামাফিক নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর তাঁরা নতুন AG নিয়োগ করতে পারতেন। সরকারের কাছে প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেলের প্রশ্ন, তাই যদি হয়, তবে দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের সময় কেন তাঁকে পুনর্নিয়োগ করা হল?


জয়ন্ত মিত্রের পর পরবর্তী অ্যাডভোকেট হচ্ছেন আইনজীবী কিশোর দত্ত। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, নতুন মুখ সামনে আনতেই বয়সে নবীন এই আইনজীবীকে অ্যাডভোকেট জেনারেলের দায়িত্ব দেওয়া হল।


আরও পড়ুন, বিধানসভায় হুলুস্থুলু, সাসপেন্ড করা হল আব্দুল মান্নানকে


সুজন চক্রবর্তীর 'বলপ্রয়োগের' অভিযোগ; পাল্টা হুঁশিয়ারি পার্থ চ্যাটার্জির