প্রথম দিনেই টিকাকরণে নজরদারি মুখ্যমন্ত্রীর, জেলায় জেলায় পৌঁছল Vaccine
আগামীকাল জরুরি বৈঠক স্বাস্থ্য ভবনে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অপেক্ষার প্রহর গোনা শেষ। রাজ্য়ে চলে এসেছে ভ্যাকসিন। করোনার টিকাকরণ কর্মসূচিকে ঘিরে এখন প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে। সূত্রের খবর, ১৬ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী নিজে ব্লকস্তর পর্যন্ত এই টিকাকরণ কর্মসূচি উপর নজর রাখবেন। সেদিন যাঁরা ভ্যাকসিন নেবেন, কথা বলবেন তাঁদের সঙ্গেও। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি রাখার জন্য ইতিমধ্যেই জেলাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। ভ্যাকসিন ইস্যুতে আগামীকাল জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। বৈঠকে ২৪টি বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
আর ভয়ের কিছু নেই। করোনাভাইরাসের লঙ্গে লড়াই করার অস্ত্র বের করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে টিকাকরণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে ৩ কোটি কোভিড যোদ্ধাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ভিডিয়োর বৈঠকের পর, এদিন সকালে পুণের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে বিশেষ বিমানে সাত লক্ষ Vaccine-এর ডোজ পৌঁছয় কলকাতায়। এরপর বিমানবন্দর থেকে বাগবাজারে কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরের নিয়ে যাওয়া হয় কোভিশিল্ড (Covisield)। সেখান থেকে রাতেই ট্রাকে চাপিয়ে হাওড়া, হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনায় ভ্যাকিসন পাঠিয়ে দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটেও কি এবার পদ্ম ফুটবে? জল্পনা বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই
হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ১৪ হাজার ভ্যাকসিনের ডোজ এসেছে। আগামীকাল থেকে বিশেষ ভ্য়ানে চাপিয়ে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। ১৬ জানুয়ারি থেকে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও কোভিড যোদ্ধারা এই ভ্যাকসিন পাবেন। টিকাকরণ কর্মসূচি রূপায়ণে প্রস্তুত হুগলি জেলা প্রশাসনও। কোভিশিল্ড (Covisield) পৌঁছে গিয়েছে চুঁচুড়ায়, জেলা ভ্যাকসিন সেন্টারে। ভ্যাকসিন দেওয়ার মহড়া শেষ হয়েছে নির্বিঘ্নেই। ১৬ জানুয়ারি থেকে জেলা হাসপাতাল-সহ কুড়ি কেন্দ্র থেকে ভ্য়াকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে। তেমনটাই জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।