ইভিএম কারচুপি নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরব, বিতর্কের মাঝেই ট্যুইট মমতার
# ইউনাইটেড ইন্ডিয়া অ্যাট ব্রিগেডের পর সকল বিরোধী দল ইভিএমের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করছি। ১৯ জানুয়ারি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরব।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইভিএম কারচুপি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসার পরই টুইটে প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা করতেই হবে। আপনাদের প্রতিটি ভোট মূল্যবান। # ইউনাইটেড ইন্ডিয়া অ্যাট ব্রিগেডের পর সকল বিরোধী দল ইভিএমের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করছি। ১৯ জানুয়ারি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরব। হ্যাঁ, প্রতিটি ভোট মূল্যবান।”
আরও পড়ুন: আজ মালদায় মোদীর সেনাপতি, নজরে মমতা’র বাংলা
প্রসঙ্গত, লন্ডনে সাংবাদিক সম্মেলন করে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন মার্কিন সাইবার বিশেষজ্ঞ সৈয়দ সুজার। তাঁর দাবি, “ ইভিএম কারচুপির সাহায্যে ২০১৪’র ভোটের ফল বদলে ফেলা হয়। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জেতে বিজেপি। সেই কারচুপির গোপন খবর ফাঁস হয়ে যাওয়াতেই সরিয়ে দেওয়া হয় গোপীনাথ মুন্ডেকে। ”
মুখ কালো কাপড়ে ঢেকে সেদিন স্কাইপের মাধ্যমে ইউরোপের ভারতীয় সাংবাদিকদের বৈঠকে ডেকেছিলেন সৈয়দ সুজা। তারপরই একের একের এক বিস্ফোরণ। সুজার দাবি করেন, “২০১৪’র লোকসভা ভোট আদতে প্রহসন।”
২০১৪ সালের ২৬ শে মোদী সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন গোপীনাথ মুণ্ডে। একসপ্তাহের মধ্যে পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। সুজার দাবি হ্যাকিংয়ের কথা ফাঁস হয়ে যাবে, সেই ভয়েই গোপীনাথকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ইভিএমে কারচুপির প্রসঙ্গটা ব্রিগেডের দিনই ফারুক আবদুল্লা। বিয়য়টি নিয়ে কমিশনে দরবার করার প্রস্তাব নেওয়া হয়। ২ দিনের মধ্যেই ইভিএম বিতর্কে চাঞ্চল্যকর মোড় নেয়।
এরই মধ্যে ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, “#ইউনাইটেড ইন্ডিয়া অ্যাট ব্রিগেডের পর সকল বিরোধী দল ইভিএমের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করছি। ১৯ জানুয়ারি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরব। হ্যাঁ, প্রতিটি ভোট মূল্যবান।”