ওয়েব ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে কাটতে চলেছে মেট্রোর জমিজট। মঙ্গলবার, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব ও মেট্রোর আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, দ্রুত কাটাতে হবে জমিজট। বৈঠক থেকেই ফোনে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন মেয়র। তবে, বরানগর বারাকপুর প্রকল্প আপাতত হিমঘরে। তারই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার মেট্রোর জমিজট কাটাতে বিশেষ বৈঠক হয় নবান্নে। বৈঠকে মেট্রোর তরফে বলা হয়, বিভিন্ন প্রকল্প জমিজটে আটকে রয়েছে। ফলে প্রকল্পের জন্য এবারের রেলবাজেটে অর্থ মঞ্জুর হলেও যে দ্রুততায় প্রকল্পের কাজ এগোনো উচিত ছিল, তা হচ্ছে না।


আরও জানুন- ১লা এপ্রিল থেকে কলকাতা পুর এলাকায় নতুন সম্পত্তি কর ব্যবস্থা


যেমন, জোকা-বিবাদী বাগ: যে ডিপো জোকায় হওয়ার কথা, তার জন্য নুন্যতম ৭৫ শতাংশ জমি মেট্রোর হাতে না এলে তারা কাজ শুরু করতে পারে না। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত মেট্রো কর্তৃপক্ষের হাতে মাত্র ৪৬ শতাংশ জমি এসেছে। বাকি জমি অধিগ্রহণ করা যায়নি।


এয়ারপোর্ট-নিউ গড়িয়া: এই প্রকল্পে ভিআইপি বাজার সংলগ্ন এলাকায় জমি সমস্যা রয়েছে। মহিষবাথান ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুত্ পর্ষদের টাওয়ার না সরানোয়, পাচটি বাড়ি ভেঙে না ফেলায় কাজ এগনো যাচ্ছে না।


দক্ষিণেশ্বর-বরানগর: কামারহাটি এলাকায় বেশকিছু জায়গায় দখলদারি রয়েছে। সেগুলো সরানো সম্ভব হলে ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।


নিউগড়িয়া স্টেশন সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এখনও প্রয়োজনীয় জমির সমস্যা মেটেনি।


আরও জানুন- গড়িয়ায় বাড়ির মধ্যেই থেঁতলে কিশোরী খুনের ঘটনায়, ধরপাকড় জারি


যখন এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে, সেইসময়েই বৈঠক থেকেই মেয়র ফোন করা শুরু করেন বিভিন্ন জনকে, যাতে সমস্যার দ্রুত সমাধান করা যায়।
তবে, বারাকপুর-বরানগর-বারাকপুর প্রকল্প আপাতত যে হিমঘরে তাও এদিনের বৈঠকে রাজ্য সরকারের তরফে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কারণ, টালা থেকে একাধিক পাইপ মেট্রোর প্রস্তাবিত যাত্রাপথে থাকায় সেখান দিয়ে এধরনের কাজ হলে সমস্যা বাড়বে।