নিজস্ব প্রতিবেদন : কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে রাজ্যের ৬ কয়লা ব্য়বসায়ীকে নোটিস পাঠাল আয়কর দফতর। এই ৬ কয়লা ব্যবসায়ীর মধ্যে ২ থেকে ৩ জনের সঙ্গে কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝি ওরফে লালার 'ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক' রয়েছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি সেই ২-৩ জন কয়লা ব্যবসায়ী যথেষ্ট প্রভাবশালীও বটে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কাণ্ডে অন্যতম পান্ডা লালা এখনও বেপাত্তা। কলকাতা, পুরুলিয়া,আসানসোল, দুর্গাপুরে লালার বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানোর পর থেকে বেপাত্তা লালা। তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে আয়কর দফতর। লালার খোঁজ পেতেই এবার তার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে অন্য কয়লা ব্যবসায়ীদের আয়কর দফতরের তলব বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। সূত্রের খবর, ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আয়কর দফতর কয়লা পাচার কারবারের খুঁটিনাটির হদিশ পেতে চাইছে। পাচার হয়ে কয়লা কোথায় যায়, কোন কোন বড় 'মাথা' এরসঙ্গে জড়িত ইত্যাদি।


বলে রাখি, দিন কয়েক আগে কলকাতায় শেক্সপিয়র সরণী-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অনুপ মাঝির বাড়ি ও অফিসে হানা দেয় আয়কর দফতর। সেখান থেকে উদ্ধার হয় বহু কাগজপত্র। সেখানেই  অনুপ-এনামুলের সম্পর্কের হদিস মেলে। আয়কর দফতরের তদন্তে উঠে আসে, অনুপ মাঝি মুর্শিদাবাদ থেকে উত্তরবঙ্গে কয়লা পাচার করত। সেই কয়লার সেফ প্যাসেজের জন্য সে সাহায্য নিত এনামুল বাহিনীর। 


এনামুলের ট্রান্সপোর্টেই কয়লা পাচার হত। এই বিষয়ে প্রায় হাজার সংখ্যক ডিল হয়েছে কোটি টাকার ওপরে। জানা গিয়েছে, পাচারের ডিল হত পার্ক সার্কাস, তোপসিয়া ও নিউটাউনের কয়েকটি আবাসনে। প্রসঙ্গত, অমিত শাহের বাঁকুড়া সফরের সময়ও লালার খোঁজে বাঁকুড়ায় তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা আক্রমণে আবার তাঁকে বিঁধেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


আরও পড়ুন, ২০২১ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য জরুরি ঘোষণা, বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার