নিজস্ব প্রতিবেদন: নেতাজির জন্মদিনে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হবে কলকাতা। কারণ, এদিন একদিকে যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর অন্যদিকে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা। এদিন ভিক্টোরিয়া থেকে বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। নেতাজি জয়ন্তী উপলক্ষ্যে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্যামবাজার থেকে রেডরোড পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন।  আঁটোসাটো নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে গোটা শহর। ইতিমধ্যে, শহরে এসে পৌঁছেছে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব সিকিউরিটি টিম। কলকাতা পুলিসের সহযোগীতায় কড়াকড়ি নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলার প্রস্তুতি চলছে।  


কেন্দ্র যা ঘোষণা করেছে তা একান্তই তাদের বিষয়। পরাক্রম দিবস নামে আমরা খুশি নই, নেতাজীর পরিবারও খুশি নয়। দেশনায়ক দিবস বা দেশপ্রেম দিবস নামকরণ হলেই ভাল হতো। নেতাজির জন্মদিনকে কেন্দ্রের পরাক্রম দিবস ঘোষণায় এমনটাই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পুরুলিয়ার সভা থেকে বলেছিলেন, 'যে যেভাবে ইচ্ছে পালন করুক, আমরা এদিন ১২টার সময় শ্যামবাজারে নেতাজী মূর্তির সামনে জমায়েত করব। সেখান থেকে পদযাত্রা হবে'। 


প্রায় ২০০০ এর বেশি পুলিস  মোতায়েন করা হবে। নজরদারি চালাতে ব্যবহার করা হবে ড্রোন। শহরে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। যে জায়গায় প্রধানমন্ত্রী যাবেন তার পাশে রাখা থাকবে  স্যান্ডবাঙ্কার। থাকবে কুইক রেসপন্স টিমও। 


অর্থাৎ আগামীকাল শহরের জোড়া কর্মসূচীর আগে ও চলাকালীন কড়া নিরাপত্তায় আঁটোসাঁটো  থাকবে শহর কলকাতা। প্রসঙ্গত, শিয়রে একুশের বিধানসভা ভোট। লক্ষ্য বাংলা দখল। কখনও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কখনও অমিত শাহ। দফায় দফায় বাংলা সফরে হাজির হয়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্ব। এবার বাংলায় আসছেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। বাঙালির আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে নেতাজি। আর বাংলা দখলের লড়ায়ে তাই বাঙালির নেতাজী আবেগকেও হাতিয়ার করতে চায় কেন্দ্র।