খাস কলকাতায় যুবককে অপহরণ, এরপর মাসাজ পার্লারে নিয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে এটাই করা হল...
মারতে মারতে অটোতে তোলা হয় ওই যুবককে। টালিগঞ্জ, চারু মার্কেটের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরানো হয় বিকাশকে। শেষে বিজয়গড় এলাকার মাসাজ পার্লারে নিয়ে যাওয়া হয় বিকাশকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: খাস কলকাতায় দিন দুপুরে যুবককে অপহরণের অভিযোগ।অপহৃতের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে টাকা আদায়! অভিযোগ, অপহৃতদের ধরার বদলে উল্টে তাদের সাহয্য করেছে পুলিসের একাংশ। শেষ পর্যন্ত ধৃত তিন।
ঘটনার চিত্রপট দেখুন একনজরে..
দিন দুপুরে 'অপহরণ'
আরও পড়ুন: ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করে পোস্ট প্রেমিকের, আত্মঘাতী তরুণী
কলকাতায় প্রকাশ্যে 'দুষ্কৃতী তাণ্ডব'
চমকে ওঠার মতোই কাণ্ড ঘটেছে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে।
অভিযোগ, ৫-৬ জন দুষ্কৃতী জোর করে অটোতে তুলে নেয় বিকাশ সাউকে।
মারতে মারতে অটোতে তোলা হয় ওই যুবককে। টালিগঞ্জ, চারু মার্কেটের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরানো হয় বিকাশকে।
শেষে বিজয়গড় এলাকার মাসাজ পার্লারে নিয়ে যাওয়া হয় বিকাশকে।
অভিযোগ, জোর করিয়ে স্ট্যাম্প পেপারে লিখিয়ে নেওয়া হয় অভিযুক্তরা তাঁর থেকে টাকা পায়।
রাজেশ খান, বাচ্চা রাজেশ, আপ্পু, সুড্ডা রাজু, ট্যাপা, সূরজ নামে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পাঁচ লক্ষ টাকা লুঠের অভিযোগ।
এরপরের ঘটনা আরও নাটকীয়।মাসাজ পার্লার থেকেই থেকেই নিজের বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিকাশ সাউ। কিন্তু সেই বন্ধুরও অভিযোগ, পুলিসের একাংশ তাঁদের রীতিমতো ঘোরায়। এরপর খবর যায় লালবাজারের গুণ্ডাদমন শাখায় । তারপরেই তত্পর হয় চারু মার্কেট থানা। উদ্ধার করা হয় বিকাশকে।
তবে বিকাশের অভিযোগ, তাঁকে আদতে উদ্ধারই করেনি পুলিস। মধ্যস্ততার কাজ করেছে পুলিসের একাংশ। জোর করে সই করিয়ে নেওয়া স্ট্যাম্প পেপার দেখে পুলিস দুষ্কৃতীদেরই পক্ষ নেয় বলে অভিযোগ। অপহৃতকেই টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের গুণ্ডাদমন শাখা।