নিজস্ব প্রতিবেদন: আব্বাসউদ্দিনের দলের সঙ্গে বাম কংগ্রেসের দ্বিতীয় দফার বৈঠকেও জট কাটল না। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না  অধীর চৌধুরি। তাই চূড়ান্ত কোনোও সিদ্ধান্তের কথাও স্পষ্টভাবে জানাতে পারেননি রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাম ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) আসন নিয়ে একমত হলেও বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। বুধবার রাতে আসন রফা নিয়ে বৈঠক করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ও আইএসএফ-এর তরফে ছিলেন দলের চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি। 
ছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং আব্দুল মান্নান।


 নিজেদের আসন তালিকা দেন নওশাদ সিদ্দিকি। যেখানে  প্রায় ৫০টি আসনের দাবি করেন তাঁরা। সেই তালিকা মোটে পছন্দ হয় না কংগ্রেসর। বৈঠক শেষে কংগ্রেস বেরিয়ে গেলেও, সিপিএম-এর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি স্পষ্ট  করে জানান, ৫০ এর নিচে আসন নিয়ে সমঝোতা নয়। কংগ্রেস  এর একরোখা মনোভাবের জন্যই ক্ষুব্ধ আইএসএফ। 


অন্যদিকে, কংগ্রেস মালদা, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুর উত্তর, আমডাঙ্গা, উলুবেড়িয়া, পাঁশকুড়া এরমতো  বেশ কয়েকটি আসন আইএসএফ-এর হাতে দিতে রাজি নয় কংগ্রেস। কিন্তু আইএসএফ জানিয়েছে, সংখ্যালঘু ভোটে কংগ্রেস এর চেয়ে তাদেরই প্রভাব বেশি। 


বৃহস্পতিবার প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং আব্দুল মান্নান অধীরের সঙ্গে আলোচনা করার কথা জানিয়েছেন। নওশাদ সিদ্দিকি এদিনের বৈঠক শেষে বলেন, "কংগ্রেস কাল জানাবে। ওদের কাছে তালিকা তুলে দিয়েছি। দেখি কাল ওরা কি বলে। বামেদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশাবাদী"। 


প্রসঙ্গত, বাম-কংগ্রেস জোটের আসন রফা নিয়ে দুবার বৈঠক হয়। প্রথম দিন অধীর চৌধুরী ও বিমান বসুর সঙ্গে বৈঠক হয় সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকির। তারপর বুধবার রাতে দ্বিতীয় দফার বৈঠক। কিন্তু তাতেও অমীমাংসিত রয়ে গেল জোটের আসন রফা।